অগ্নিকাণ্ডের চরম ঝুঁকিতে বান্দরবান সদর হাসপাতাল
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ
বান্দরবানের অন্যতম চিকিৎসা কেন্দ্র বান্দরবান সদর হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক অবস্থা। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) রাসায়নিকের মেয়াদ এক বছরের আগে শেষ হলেও এ বিষয়ে জানেন না কর্তৃপক্ষ। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সদর হাসপাতাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১শ শয্যার এ হাসপাতালে জেলার ৭টি উপজেলার অনেক দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন দুইশোর বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন। পাশাপাশি প্রতিদিন তিনশো থেকে পাঁচশো রোগী হাসপাতালে আসেন। এমন একটি হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনায় একমাত্র ভরসা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর রাসায়নিক মেয়াদোত্তীর্ণ। যে কোন সময় আগুন ধরে গেলে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর রাসায়নিক মেয়াদোত্তীর্ণের কারণে মুহূর্তে বড় দূর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কক্ষের প্রবেশদ্বারে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে ১৪টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। যার একটিরও মেয়াদ নেই,যা ব্যবহারযোগ্য নয়।
এবিষয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জসিম উদ্দীন বলেন, বান্দরবান সদর হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সংকট রয়েছে। সদর হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক সচল আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পরে যোগাযোগ করে বলবো।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দীন ভূইয়া বলেন, একবছর আগে সদর হাসপাতালে মহড়া হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা যদি চায়, আমরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরীক্ষা করি। তিনি আরো বলেন, কৃতপক্ষের এলার্ট হওয়া প্রয়োজন, এই ব্যাপারে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলেছি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ৫০ শয্যার বান্দরবান সদর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০১ সালে এসে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটি এখন ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। দুর্গম ৭ উপজেলার মানুষের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই হাসপাতালটি।