এপ্রিল মাস থেকে চা চয়ন (চা পাতা সংগ্রাহ) এর উপযুক্ত সময়। চা গাছের কচি পাতা সংগ্রহ শুরু হয় এপ্রিল মাসের শুরু থেকে। সেই হিসেবে ইতিমধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চা চয়ন হবার কথা। কিন্তু টানা খরার কারনে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চা বাগান গুলোতো চা চয়ন শুরু করাই সম্ভব হয়নি।
কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রশিদ কাদেরী বলেন, ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সর্বমোট ২২টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানেই একই সময় অর্থাৎ এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চা চয়ন (চা পাতা সংগ্রহ) করার কথা। কিন্তু খরার কারণে কোন বাগানেই এখন পর্যন্ত চা চয়ন শুরু করা যায়নি। পাতা চয়ন না হওয়ায় চা উৎপাদনও সম্ভব হয়নি। এর ফলে চা উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। যে কারণে চা বাগান মালিকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চা গবেষক আমিনুর রশিদ কাদেরী বলেন, মার্চ মাসের পর মাঝে মধ্যে হালকা বা ভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে। ঐ বৃষ্টির পর চা গাছে নতুন পাতা জন্মায়। সেই পাতা সংগ্রহ করে তা থেকেই চা উৎপাদন করা হয়। এতদিন বৃষ্টি না হওয়ায় কোন চা গাছেই নতুন পাতা জন্মায়নি। তবে আশার কথা হলো গত ২ মে (রবিবার) দিবাগত রাত ৩টার সময় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে স্বল্প সময়ের জন্য মাঝারী বৃষ্টিপাত হয়। ঐ সামান্য বৃষ্টির ফলেই চা বাগান গুলো সতেজ হয়ে উঠে। এরকম আর একবার বৃষ্টি হলেই চা গাছ থেকে পাতা চয়ন করা যাবে। এখন সকল চা বাগানের মালিক বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে আছেন।
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় চা গাছে নতুন পাতা গজায়নি। বাগান মালিকরা পাতা চয়ন করতে না পারায় চা উৎপাদনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু বাগানে খরচ যথারিতি চলমান ছিল। খরার সময় কৃত্রিম উপায়ে চা বাগানে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা রাখা হয়। বাগান পরিচর্যার জন্য চা শ্রমিকরা যথারিতি কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের বেতন প্রদানসহ আনুসঙ্গিক খরচ কিন্তু বন্ধ ছিলনা। টানা খরার কারণে এবছর প্রতিটি চা বাগান উল্লেখযোগ্য পরিমান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।