অনুভূত হচ্ছে শীত, দোকানে কদর বেড়েছে শীতের কাপড়ের

purabi burmese market

শীতের আভাস আসার শুরুর পরপরই বান্দরবানে বেঁচাকেনা বেড়েছে শীত-পোশাকের দোকানে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি সকল বয়সের ক্রেতারা কিনছে নানা ধরনের শীতের পোষাক। ক্রেতাদের আনাগোনায় বেশ খুশি দোকানীরা ও।

শীতের এসময়ে ছাহিদা বেড়েছে জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, কম্বলসহ নানা রকমের পোষাকের। বান্দরবান বাজার,চৌধুরী মার্কেট,কে এস প্রু মার্কেট, বার্মিজ মার্কেট,বালাঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিক্রি হচ্ছে এই শীতের পোষাক। দেশি বিদেশি নানা রকম শীতের গরম পোষাক নিয়ে পসড়া সাজিয়ে বসে রয়েছে দোকানিরা,আর ক্রেতারা খুঁজে নিচ্ছেন পছন্দনীয় শীতের কাপড়টি।

বান্দরবান কেএস প্রু মার্কেটের দোকানদার সানি জানান, শীতের প্রকোপ শুরুর সাথে সাথে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। আমাদের বেচাকেনা বেশ ভাল। আমরা মূলত ছেলেদের জ্যাকেট,শীতের ফানেল শার্ট,জিন্স ও গাবাডিং পেন্ট বেশি বিক্রি করছি, পাশাপাশি সোয়েটায় ও জ্যাকেট চলছে পুরোদমে।

বান্দরবান কেএস প্রু মার্কেটের দোকানদার নুরল ইসলাম বলেন,আমাদের ব্যবসা মূলত নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে চলবে মার্চ পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকা স্বাপেক্ষে। আমাদের দোকোনে দেশি বিদেশি কম্বল ও চাদরের পরিমান বেশি। আমরা প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।

শীতের কাপড় কিনতে আসা এক ক্রেতা মো:নজুরুল ইসলামের সাথে কথা হয় ,তিনি জানান এখনই শীতের পোশাক কেনার সময়। পাহাড়ে এখন বেশি শীত পড়ছে। সন্ধ্যা নামলেই শীতের প্রকোপ দেখা যায়। রাত হলে আরো বেশি তাই পরিবারের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি।

dhaka tribune ad2

শীতের কাপড় কিনতে আসা এক ক্রেতা রাহুল বড়য়া জানান,শীত শুরু হয়ে গেছে আর তাই নতুন জ্যাকেট কিনতে বাজারে আসা। দাম তুলনামূলক কম নয়,তারপরে ও যাচাই বাঁচাই করে কম দামে সেরাটা কেনার চেষ্টা করছি।

এদিকে শুধু বড় বড় মার্কেট নয়,বেচাকেনা বেড়েছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। নিম্মমধ্যবিত্তরা জড়ো হচ্ছে এইসব দোকানে আর গাইড খুলে খুঁজে নিচ্ছে পছন্দের শীতের কাপড়।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।