অবশেষে লামায় ৩শ মায়ের হাতে মাতৃত্বকালীন ভাতা

NewsDetails_01

pic  (3)বান্দরবানের লামা উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচীর অধিনে তিনশত দুগ্ধদানকারী মায়েদেরকে মাতৃত্বকালীন ভাতার চেক দেয়ার কথা ছিল শনিবার আইন শৃংখলা সমাবেশ রাত সাড়ে ৭টায় শেষ হওয়ায় ভাতার চেক দেয়া সম্ভব হয়নি, অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেত্রে ভাতা পেলেন তারা। প্রতিমন্ত্রীর সরকারী সফরসূচী মতে ২৭ আগষ্ট শনিবার বিকাল ৩টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আলীকদমে সভা থাকায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিকাল ৫টায় জনসভা শুরু হয় এবং রাত ৭টা ৭মিনিটে সমাবেশ শেষ হয়।
বাড়ি দূরে হওয়ায় এবং খাওয়ার মত অর্থ না থাকায় অনেক মা দুপুরে না খেয়ে ছিলেন। তিনি সবাইকে অর্থ নিয়ে যেতে বললেও অতিথি যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের পরের দিন আসতে বলে। পরের দিন টাকার জন্য আসলে জটিলতা হওয়ায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ নিজে হস্তক্ষেপ করে ব্যাংকের সাথে কথা বলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভাতার টাকা মায়েদের হাতে তুলে দেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা বলেন,

যেহেতু বাচ্চা কান্না করছে আর রাত বেশী হয়ে যাওয়ায় মায়েদের পরেরদিন চেক নিতে আসতে বলা হয়েছে।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, কর্মকর্তাদের অসেচতনতার কারনেই মূলত কোলের শিশুকে নিয়ে প্রচন্ড গরমে দীর্ঘ প্রতিক্ষার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন জেলার লামা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের তিন শতাধিক মা। ভাতা প্রদানে বিষয়টি আরো সহজ করলে ভোগান্তি অনেক কমে আসবে। অন্যদিকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের লোকজন ও তাদের কিছু এজেন্টরা তাদের কাছ থেকে ২শত টাকা করে নিয়েছে এমন অভিযোগ অনেকের। লামায় সহায়তা গ্রহণকারী মা কামরুন নাহার বলেন,

শনিবার সারাদিন বসিয়ে রেখে আমাদের রাত সাড়ে ৭টায় পরের দিন আসতে বলাটা দুঃখজনক।

অপরদিকে “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচীর তালিকা তৈরিতে নিয়ম না মেনে আত্মীয়করণ, দলীয় বিবেচনা ও পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠেছে।
সমাবেশের সভাপতি ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেক মাহমুদ বলেন,সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সবাইকে চেক দিয়ে দিয়েছে বলে আমাকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, বিলম্ব হওয়ায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক দুঃখিত। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই আজ সকলের হাতে চেক তুলে দিয়েছি।

আরও পড়ুন