খাগড়াছড়ি দীঘিনালার বাবুছড়ায় দশম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও রাস্তায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র রাব্বির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা থানায় অভিযোগ করায় তাকে ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা ও হুমকি ধামকি প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
ইভটিজিং’র স্বীকার ঐ স্কুলছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় বখাটে রাব্বি প্রায় সময় নেশা করে আমার মেয়েকে উক্ত্যক্ত করতো এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। এ বিষয়ে বখাটে রাব্বির পরিবার ও স্থানীয়ের অবগত করায় আমাকে ও আমাকে ছেলেকে বিভিন্ন সময়ে মারধর ও হুমকি ধামকি প্রদান করে সে। বিষয়টি আমি সামাজিক ভাবে কোন সুরাহা না পেয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি৷ বর্তমানে বখাটে রাব্বির পরিবার এলাকার অন্য বখাটেদের লেলিয়ে দিয়ে আমার পরিবারের সম্মানহানির চেষ্টা করছে। আমি এর এর বিচার চাই৷
স্কুলছাত্রীর ভাই বলেন, আমার বোনকে উক্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করার আমাকেও মারধর করে অভিযুক্ত রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্তরা আদালতের মাধ্যমে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ৷ বর্তমানে তারা আমাদের পেছনে নোয়াব আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম বাবু সহ অন্য বখাটেদের লেলিয়ে দিয়েছে৷ বখাটেরা আমাদের বাসায় এসে পুনরায় আমার বোনকে উক্ত্যক্ত ও আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করছে৷
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় জমির উদ্দিন’র পুত্র নুর কবির ও জাবেদ আলী ব্যাপারীর পুত্র মো. মোসলেম জানান, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরও স্থানীয় চোরাবাবু নামে এক বখাটে প্রতিনিয়ত স্কুলছাত্রীর বাড়িতে এসে উক্ত্যক্ত ও হামলার চেষ্টা করেছে। যা আমরা নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুছড়া কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার বিষয়টি শুনেছি। বর্তমানে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম পেয়ার আহমেদ’র সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।