অবৈধ অস্ত্র ঠেকিয়ে ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে আঞ্চলিক দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে।
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার উপর আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিলাইছড়ি দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার একথা বলেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যার সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির হোসেন জমির, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জয়সেন তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিলাষ তংচঙ্গ্যা’সহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম শাহীদুল ইসলাম।
এসময় দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারে থাকুক আর নাই থাকুক আওয়ামীলীগের আদর্শের প্রতি এখনকার সাধারণ মানুষ ভীষন ভাবে আস্থা রেখেছে। তাই আওয়ামীলীগকে কখনোও নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। আঞ্চলিক দলগুলো বুঝতে পেরেছে যতই দিন গড়াচ্ছে আওয়ামীগ ততই শক্তিশালী হচ্ছে এবং আওয়ামীগ ক্ষমতায় থাকলে তাদের এই অবৈধ অস্ত্র চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে তাই তারা নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি যার যার রাজনীতি সে সে করবে। সাধারণ জনগনদের বোঝানোর দায়িত্ব রাজনৈতিক কর্মীদের। তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শের কথা বলবেন। জনগনই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কি করবে কি করবেনা। এভাবে সহিংস সন্ত্রাসীর মাধ্যমে জনগনকে জিম্মি করা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করা আমরা কখনো সমর্থন করিনি ভবিষ্যতেও করবোনা।
সমাবেশের আগে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার আহত রাসেল মারমাকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। উন্নত চিকিসার্থে তিনি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রাসেলকে নিয়ে আসেন।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিলাইছড়ি নলছড়া এলাকায় দুবৃত্তরা আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল মারমার উপর হামলা চালালে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।