আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাহাড়ে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির পায়রা উড়িয়েছেন এবং দুর্গমকে করেছেন সুগম। এর আগে কোনো সরকারই পাহাড়ের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শান্তির যে সুবাতাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছড়িয়ে দিয়েছেন, তার পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় পার্বত্য এলাকা।
আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের সড়ক উন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
শান্তিচুক্তির অধিকাংশ শর্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূমি-সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের সমস্যাও নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। চুক্তির অবশিষ্ট শর্ত বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, দুর্গম পাহাড়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার খুলে সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছেন।
উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্নয়ন সবার, উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত না করে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য তিন জেলার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকার এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শান্তির যে সুবাতাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছড়িয়ে দিয়েছেন, তার পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় পার্বত্য এলাকা।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার সীমান্তঘেঁষে প্রায় ৩১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে ১০০ কিলোমিটার লিংক রোড এবং ২১৭ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।