আগে তো কেউ আসেনি !

NewsDetails_01

পাড়ার বেশির ভাগ মানুষই গরিব । বাসায় যা খাওয়ার ছিল তা শেষের পথে । পাড়া বন্ধ করার পরে এতদিনেও কেউ সাহায্য করার জন্য আসেননি । এই প্রথম চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা খাবার নিয়ে এসেছেন বলে জানান ম্রোলংপাড়ার বাসিন্দা মেনপুং ম্রো ।

জানা যায়, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বান্দরবান-চিম্বুক পাহাড়ের বেশিরভাগ পাড়াগুলোর প্রবেশমুখে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে পাড়ার ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না । আবার পাড়ার কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ের জন্যও বাহির হতে পারছেন না । আর পাহাড়ে কোন মহামারি দেখা দিলেই বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করেন ম্রোরা । বন্ধ পাড়ার বেশির ভাগ পরিবার হত দরিদ্র হওয়ায় মজুদ খাদ্যর পরিমাণ ফুরিয়ে এসেছে ।

এদিকে আজ শুক্রবার (২৭মার্চ) বিকেলে বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের চারটি পাড়ার প্রায় ৭২টি পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ।

NewsDetails_03

রাংলাই চেয়ারম্যান পাড়া, ম্রোলংপাড়া, সিংচিংপাড়া ও ক্রামাদি পাড়ার মোট ৭২টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ডাল ও লবণ বিতরণ করেন তিনি । খাদ্যদ্রব্য হাতে পেয়ে মলিন মুখে হাসি ফুটে পাড়ার বাসিন্দাদের ।

এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জানান, পাড়া বন্ধ এলাকাগুলোতে যাতে খাদ্যসংকটে না পড়ে সেজন্য আমি নিজে গিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছি ।

খাদ্য দ্রব্য বিতরণে কালে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয় ম্রো ।

আরও পড়ুন