বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আনতে এবার স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ জারি করেছেন আদালত। আদেশে বান্দরবানের সড়কে কতটি গণপরিবহন চলাচল করছে এবং রুট পারমিট-ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ আনুষঙ্গিক তথ্য আদালতে সরবরাহের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বিআরটিএ কর্মকর্তাকে বলেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১১ মার্চ) বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন বলে ওই আদালতে পেশকার রিয়াজুল ইসলাম সজীব জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে বলা হয়েছে, বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী চার চাকার গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চাঁদের গাড়ি, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন গণপরিবহন যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করে। এসব গাড়ি নিয়মিত যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পর্যটকদের নিয়ে পাহাড়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যায়। আদালত অবগত হয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশ যানবাহনের চালকের লাইসেন্স নেই। যানবাহন গুলোর অধিকাংশের ফিটনেস নেই। আসন্ন বর্ষায় এসব গাড়ি জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলবে।
এ অবস্থায় মোটরযান আইন, ১৯৮৮ এর ১৫২ ও ১৫৫ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত বান্দরবানে চলাচলরত গাড়ির সংখ্যা, মালিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর, ফিটনেস সার্টিফিকেট, বীমা সার্টিফিকেট, রুট পারমিট এবং চালকদের নাম-ঠিকানা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। বান্দরবানের পুলিশ সুপার এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বান্দরবানের সহকারি পরিচালককে ২৫ মার্চের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সড়ক পথে চলাচলকারী অধিকাংশ ট্রাক,বাস ও জীপ, সিএনজি, মাহিন্দ্র ও জীপ গাড়ির ফিটনেস না থাকলেও এই বিষয়ে বিআরটিএ এর কোন অভিযান নেই এবং অল্প বয়সী চালকরা বেপোয়ারা গাড়ি চালান বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।