আমি নাচি শেখ হাসিনার বলে : লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে বীর বাহাদুর

লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করছেন পৌর মেয়র ও সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম
‘ছাগল নাচে খুঁটির বলে, ‘আমি নাচি জননেত্রী শেখ হাসিনার বলে’। আমাদের এখন আর কোয়ানটিটির কোন প্রয়োজন নেই, এখন কোয়ালিটি সম্পন্ন শিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন। বান্দরবানের লামা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার ‘৫০ বছর পূর্তি উৎসব’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর একথা বলেন।
আজ শনিবার সকালে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্তমান-প্রাক্তন মিলে সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিথি তংচঙ্গার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মোস্তফা কামাল, বান্দরবান জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, আলীকদম সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. মাহাবুবুর রহমান পিএসসি, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাস বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ছাফোয়ানুল হকের সঞ্চালনায় লামা পৌরসভা মেয়র ও সম্মেলন উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মো. জহিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ
প্রধান বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে প্রাক্তন অনুষ্ঠানের মাঝে অগ্রযাত্রার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত “সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক” ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন। শেষে কলেজ ৬তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন, ১০০শয্যা বিশিষ্ট হোস্টেল ও ছাত্র-শিক্ষক অডিটরিয়াম নির্মাণের ঘোষনা দেন প্রতিমন্ত্রী। একই সময় তিনি ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ আয়োজকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারী সাবেক সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) আজিজুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ম্রাথোয়াই অং চৌধুরী, হাজ্বী বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, নুর আহমদ মাস্টার, আবদুল লতিফ, মতিলাল দাশ ও ছাবের আহমদ মিয়া বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও বর্তমান শিক্ষকগনও অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়েই ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের লক্ষ্য নির্ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই মহতি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সর্বস্তরের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি অত্যন্ত সহানুভুতিশীল।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন,বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় ‘আপনাদের সমস্যা সমাধান করেছি ও ভবিষ্যতেও করব। এর বিনিময়ে আমাদের সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র শিক্ষক স্মৃতি চারণ ও তৃতীয়ার্ধে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন