রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই সড়কের রেশম বাগান পুলিশ চেক পোস্ট হতে উত্তরে দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক হয়ে বারঘোনিয়া তনচংগ্যা পাড়া। সেই তনচংগ্যা পাড়ার বারঘোনিয়া ছড়া পার হয়ে ৫ মিনিট হেঁটে দেখা মিলবে বিশাল আমের বাগান, সাথে আছে লিচুরও বাগান। প্রায় ৩ একর পাহাড়ী জমিতে আম এবং লিচুর চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কাপ্তাইয়ের মিশন এলাকার বাসিন্দা মংচিং মারমা, যিনি একজন দক্ষ স্যুটার হিসাবে এলাকায় সু- পরিচিত, আবার তিনি কাপ্তাই উপজেলা রাইফেল ক্লাবেরও একজন সদস্য।
শনিবার( ১৫ মে) এই প্রতিবেদক যান তার বাগানে, গিয়ে দেখেন সারি সারি আম গাছে ঝুলছে কাচা পাকা আম এবং লিচু গাছে লিচু টসটস করছে।
কথা হয় মংচিং মারমার সাথে, তিনি জানান এই বছর তাঁর বাগানে প্রায় ২ হাজার গাছে ফজলি, হাড়িভাঙা, আম্রপালি, রাংগুই, মল্লিকা সহ বিভিন্ন জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে এবং সব আম ফরমালিন মুক্ত। আগামী জুন মাস হতে আম কাটা শুরু হবে এবং আম বিক্রি হতে তিনি লক্ষাধিক টাকার আয় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। তিনি আরোও জানান, তাঁর বাগানে আমের পাশাপাশি চায়না-৩ এবং দেশী লিচুর চাষ করেছেন। লিচু বিক্রি করেও তিনি লাভ করবেন বলে জানান।
সফল চাষী মংচিং মারমা জানান, বিগত ২০ বছর ধরে তিনি এই বাগান করছেন। বাগান করা তাঁর নেশা এবং পেশা। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তিনি আরোও বেশী এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন।
কাপ্তাই কৃষি বিভাগের উপ -সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, তাঁর ব্লক রেশম বাগান তনচংগ্যা পাড়া এলাকায় অনেকে কৃষি বিভাগ হতে পরামর্শ গ্রহন করে আম , লিচু সহ নানা জাতের ফলের চাষ করে লাভবান হয়েছেন, সেইক্ষেত্রে কৃষক মংচিং মারমা সহযোগিতা চাইলে কৃষি বিভাগ সবসময় তাঁর পাশে থাকবেন।