বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত পর্যটক নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ জুবাইরুল ইসলাম। এসময় তার সাথে আরো ২ পর্যটক নিখোঁজ হলেও তাদের লাশ উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নিহত শেখ জুবাইরুল ইসলামের পিতার নাম শেখ হিদায়েতুল ইসলাম এবং মাতার নাম মোছাঃ কামরুন্নাহার। তার আইডি নম্বর ২৮৫৪২৭১০৪১। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ধলইতলা পাচুড়িয়া্র বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফরেস্ট ঘাট সংলগ্ন তাহের মল্লিকের জমিতে নদীর পানিতে লাশটি ভেসে আসে। পরে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিনের নির্দেশে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াছিন আহমেদ মিশু সঙ্গীয় ফোর্সসহ ফরেস্ট ঘাট এলাকা থেকে বেওয়ারিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

জানা যায়, আলীকদম টুরিস্ট গাইড সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যার সাথে ৩৩ জনের একটা টিম তৈনগাঙ দৌছড়ি এলাকার খেমচং পাড়া হয়ে রংরাং ক্রিসতংয়ে ঘুরতে যায়। ১২ জনের সাথে গাইড সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা ক্রিসতং চলে গেলে পরে ২১ জনের গ্রুপটি শামুক ঝর্ণা হয়ে আলীকদম ফিরছিল। প্রচুর বৃষ্টিতে শেখ জুবাইরুল ইসলাম পানিতে তলিয়ে যায়, ট্যুরের হোস্ট হাসানসহ তার সাথে থাকা একটি মেয়েও নিখোঁজ রয়েছেন এখনো পর্যন্ত। এই গ্রুপে হোস্ট হাসান গতবছরের সাইম্প্রাতে নিহত হওয়া রাফির স্ত্রী বর্ষার পাটনার বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে আলীকদম টুরিস্ট গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি মিন্টু কর্মকার বলেন, বাম দৌছড়ি এলাকা থেকে ফেরার সময় তিনজন নিখোঁজ হয়ে যায়। আলীকদমে একটা লাশ পাওয়া গেছে শুনেছি তবে এখনো হাসান আর তার সাথে থাকা মেয়েটির হদিস পাওয়া যায়নি।
আলীকদম থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই শাহাদাৎ হোসেন জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, পরে লাশ নিহতের পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।