স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম-২য় পর্যায় এর ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেসার্স নূর সিন্ডিকেট নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে রোয়াম্ভু নদীর উপর ৮১ মিটার দীর্ঘ পি.এস.সি. গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজটি শুরুর পর থেকে নির্মান কাজে স্থানীয় পাথর ব্যবহার, রড কম দেওয়াসহ বিভিন অনিয়মের অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত ব্রিজের ঢালায় কাজে কংক্রিট হিসেবে সিলেটি পাথরের সাথে নিন্মমানের কালো পাথর মিশ্রন করে ঢালায় কাজ চলছে। সরকারী সিডিউলে ১/৩ (এক বস্তা সিমেন্ট এর সাথে দেড় বস্তা বালি ও ৬ গাবলা পাথর মিশিয়ে) ঢালায় দেবার কথা উল্লেখ থাকলেও তার পরিবর্তে ১/৪ (এক বস্তা সিমেন্ট এর সাথে দেড় বস্তা বালি ও ৮ গাবলা পাথর মিশিয়ে) ঢালায় দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে ব্রিজ নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য পাথরের স্তুপে গিয়ে দেখা যায় উপরে লোক দেখানো সিলেটি উন্নত মানের পাথর থাকলেও এসব পাথরের স্থুপের ভিতর নিন্মমানের পাথর মিশ্রিত করে স্তুপ করা হয়েছে, যা ব্রিজটির ঢালায় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সৈকত হোসেন আরমান জানান, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সব জায়গায় দূর্নীতি হয়, এখানে সরকারী লোকজন আছে। এখানে কোন দূর্নীতি হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আমিন (প্যানেল চেয়ারম্যান) ও তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংসদ এর সভাপতি রবিদয় তংচংঙ্গ্যা বলেন, উক্ত ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই অত্যন্ত নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার ও অনিয়ম করার বিষয়টি পরিলক্ষিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে এলজিইডি অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পর কিছুদিন ভাল মালের মালামাল ব্যবহার করিলেও পরবর্তীতে একই অনিয়ম করে যাচ্ছে, যা দু:খজনক। আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ বলেন, আমি ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। নিন্মমানের পাথরগুলো অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার এবং উক্ত পাথরগুলো না সরানো পর্যন্ত ব্রীজ নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।
এদিকে, পার্বত্য জেলার উন্নয়ন কাজ ব্যায় বহুল হবার কারনে সরকার পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সমতলের চেয়ে বেশি বরাদ্ধ প্রদান করলেও যথাযথ তদারকি ও ঠিকাদারদের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে উন্নয়ন কাজগুলো টেকসই হচ্ছেনা বলে মনে করেন স্থানীয়রা।