আলীকদমে করোনা সংক্রামন নিয়ে প্রবেশ করেছে ২ জন

NewsDetails_01

সারা দেশ ও পাশ্ববর্তী উপজেলায় যখন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তখনও নিরাপদ ও করোনা মুক্ত ছিল বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা। লকডাউনের ৫৭ দিনের মাথায় অবশেষে করোনায় আক্রান্ত উপজেলার তালিকায় নাম আসলো আলীকদমের ।

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ঢাকা হয়ে মালুমঘাট পরে আলীকদম শরীরের করোনা বহন করে আলীকদম প্রবেশ করল দুইজন। তারমধ্যে একজন পুরুষ ও অন্য জন মহিলা। আক্রান্ত পুরুষ রোগীর হবু স্ত্রী মহিলাটি। পুরুষটি আলীকদম ১০ কিলোমিটার প্রভাত কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা ও মহিলাটি থানচি বড় মদক এলাকার বাসিন্দা।

আক্রান্তরা হলেন, প্রদীপ ত্রিপুরার বাড়ী আলীকদম প্রভাত কার্বারী পাড়া ও সোনাতি ত্রিপুরা বাড়ী থানচি বড়মদক এলাকায়। সোনাতি ত্রিপুরা প্রদীপ ত্রিপুরা হবু স্ত্রী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী

সূত্রে জানা যায়, প্রদীপ ত্রিপুরা ও তার হবু স্ত্রী অনেকদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছিল। ঢাকা থেকে চকরিয়া মালুমঘাট এলাকায় তার নিকট আত্মীয় বাড়ীতে অবস্থান করে। পরে গতকাল আলীকদম প্রদীপ ত্রিপুরা নিজ বাড়ী প্রভাত কার্বারী পাড়া ও সোনাতি ত্রিপুরা থানচি যান। থিংকু পাড়া বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় তাকে গতকাল ঘুরতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

প্রদীপ ত্রিপুরা পাহাড়বার্তাকে জানায়, সে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার সময় তাকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘন্টা বা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা পজেটিভ আসলে কল করে জানানো হবে। কিন্তু ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে কল না করায়, সে ধারণা করছে সে করোনা পজেটিভ না। তাই সে আলীকদম চলে এসেছে।

NewsDetails_03

তিনি আরো বলেন, আজ সকালে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি কল করে জানায় তার করোনা পজেটিভ। তারপর থেকে সে জুম ঘরে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত কারও সাথে যোগাযোগ হয়নি।

তাদের পরিবহন করা মোটরবাইক চালক জানায়, গত মঙ্গলবার(১৯ মে ২০২০) সকাল নয়টার দিকে পানবাজার থেকে চালকের মোটরবাইক যোগে প্রদীপ ত্রিপুরা ১০ কিলোমিটার থিংকু পাড়া বাজারে ও তাহার স্ত্রী সোনাতি ত্রিপুরাকে উক্ত মোটরসাইকেল যোগে থানচি বাজারে নিয়ে যান বলে জানান। প্রদীপ ত্রিপুরা তার হবু স্ত্রী টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত বলে মোটর চালককে জানিয়েছে বলে চাকল জানায়। মোটর সাইকেল চালককে সোনাতি ত্রিপুরা জানায় সে প্রদীপ ত্রিপুরার স্ত্রী।

চকরিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহবাজ জানান, গত ১৬ মে প্রদীপ ত্রিপুরা ও সোনাতি ত্রিপুরা নামে দুইজন স্বশরীরের এসে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন কিন্তু তারা দুইজনই ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েছেন এবং তারা হবু স্বামী ও স্ত্রী বিষয়টি জানান নি। প্রদীপ ত্রিপুরার সাথে যোগাযোগ করা হলেও সোনাতি ত্রিপুরার সাথে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান।

গতকাল চকরিয়া উপজেলায় ১৭ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে, তাদের মধ্যে তারা দুইজন বলে জানান তিনি।

আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদেরকেও হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে ও সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ীতে গিয়েছিলাম কিন্তু সে পালিয়ে আছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নিজ গ্রামে অবস্থান করায় সম্পূর্ণ গ্রামটি লক ডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীকে হোম আইসোলিশনের রাখা হবে ও মোটর সাইকেল চালককে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে বলে জানান।

আরও পড়ুন