আলীকদমে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে গেল সরকারি ঘরের বিভিন্ন অংশ

NewsDetails_01

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য সরকারি বরাদ্দের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঘরের পিলার ও বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। নিম্মমানের কাজের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তারাবনিয়ায় গৃহহীন ইয়াছমিন আক্তারের নির্মাণাধীন ঘরের বারান্দার একটি পিলার ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে আছে ও ১২ ইঞ্জি পিএলসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণাধীন ঘরের পাশে নিম্মমানের ইট ও কংক্রিট স্তুপ করে রাখা ছিল।

ইয়াছমিন আক্তার বলেন, প্রায় দুইমাস ধরে ঘরটি নির্মাণ কাজ চলছে। গত ১২ তারিখ পিলারটি ভেঙ্গে পড়ে, এর আগে একবার ভেঙ্গেছে ও পিএলসহ নির্মাণাধীন ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। কিন্তু বিষয়টি তিনি দেখবেন বললেও তা এখন পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নির্মাণের শুরু থেকে রাজমিস্ত্রি নিজের মর্জি মত ও নিম্মমানের কাজ করে আসছে। নিম্মমানের ইট, কংক্রিট ও ময়লাযুক্ত বালি ব্যবহার করে কাজ করলেও নিষেধ করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় রাজমিস্ত্রি, আজ পর্যন্ত কেউ তদারকি করতে আসে নি।

NewsDetails_03

২নং চৈক্ষ্য ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না, এটি ঠিক করে দেওয়া হবে। রাজ মিস্ত্রিকে অনেক বকাঝকা করেছি এবং তাকে বাদ দিয়ে নতুন রাজমিস্ত্রি দিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া অংশসহ ঘরের অসমাপ্ত করা হবে।

ভেঙ্গে যাওয়া পিলারসহ পিএল এতদিন ঠিক না করার কারণ ও নির্মাণাধীন ঘরগুলো তদারকি করা হয় কিনা এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, নির্মাণাধীন অবশিষ্ট ঘর গুলো সঠিকভাবে তদারকি করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মনঞ্জুর রহমান (অঃদাঃ) বলেন, কাজগুলো অফিস সহায়ক দেখাশুনা করেন, উক্ত স্থানে সরজমিনে গিয়ে দেখব কেন ভেঙ্গেছে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সায়েদ ইকবাল জানান, পিলার ও বারান্দার পিএল ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি জানতাম না। যদি কাজ নিন্মমানের হয় তা ভেঙ্গে পুনরায় করতে হবে ইউপি চেয়ারম্যানকে না হয় বিল দেওয়া হবে না। অসহায় ও ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন