আলীকদমে চেয়ারম্যান ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

নাছির উদ্দিনের হাতের পুতুল এসআই আল আমিন !

NewsDetails_01

বান্দরবানের আলীকদমে সদরের চেয়ারম্যান ও পুলিশের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হয়রানি মূলক মামলা, হুমকি, নারীদেরকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করলেন ঠান্ডা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা।

আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে একটি রিসোর্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঠান্ডা মিয়ার ওয়ারিশরা সদরের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও পুলিশের এসআই আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে ন্যায় বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঠান্ডা মিয়ার ওয়ারিশ উম্মে শেলী বলেন, মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করে ও চেয়ারম্যানের পদবী ব্যবহার করে নাছির উদ্দিন নিজের অনুসারী দিয়ে আমাদের নামীয় জায়গা দখলে অপচেষ্টা করছেন। তার হুমকি ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হলে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু নাছির উদ্দিন আমাদের হয়রানি করতে নিজেদের লোকজন দিয়ে ঘর ভাঙ্গচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান।

পুলিশ ও নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি ধমকি দেন। পুলিশ আমাদের অনেক সময় সারারাত থানায় বসিয়ে রেখে পরেরদিন ছাড়ার নজিরও আছে। আমাদের পরিবারের দুই নারী সদস্যকে কোন কারণ ছাড়া সারারাত থানায় আটকে রেখে পরেরদিন ছেড়ে দেয়।

NewsDetails_03

তিনি আরও বলেন, গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে দশটায় আলীকদম থানার এসআই আল আমিন ও নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের বাড়ী ঘিরে ফেলে। এসআই আল আমিন গালাগালি করতে করতে ঘরের দরজা ভেঙে ইউনিফর্ম ছাড়া হাতে দা নিয়ে ঘরে ঢুকে আবারও সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ঘর থেকে আমরা বের না হওয়ায় এসআই আল আমিন নিজে ও তার সাথে যাওয়া পুলিশরা আমাদের লাঠিচার্জ করেন। এক পর্যায় ঘরে থাকা নারীদের চড় থাপ্পড় দেন এসআই আল আমিন।

তিনি আরো বলেন, এসআই আল আমিন নেতৃত্বে পুলিশ কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই সবাইকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ীতে তুলে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা আমাদের পরিবারের ১১ জন নারী পুরুষকে থানায় নিয়ে এসে একঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করে আমাদের ৩১ জন নারীপুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ে করেন। ঘর ভাঙা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে দীর্ঘদিন ধরে ৪ জন আলীকদম উপজেলার বাইরে অবস্থান করছে। তারমধ্যে বয়স্ক নারী,দুগ্ধ শিশুর মা,স্কুল পড়ুয়াসহ ১৭ মহিলা মামলার আসামি করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে উম্মে শেলী আরও বলেন, আমাদের ১১ জনকে থানায় আটকে রেখে নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান ও পুলিশের নেতৃত্বে মিথ্যা মামলার প্রমাণ সংগ্রহের জন্য নিজেরা নিজেদের ঘর ভাঙ্গচুর করে। কিন্তু সম্পূর্ণ দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়। নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যানের ক্ষমতার পুতুল হিসেবে নাচছে আলীকদম থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও মামলার আসামি করা হবে মর্মে নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান ও পুলিশের এসআই আল আমিন হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি মামলা না চাইলে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছে। আমরা চরম নিরপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছি।

এবিষয়ে আলীকদম থানার এসআই আল আমিন বলেন, পুলিশ ইউনিফর্ম ছাড়া অভিযানে যাওয়ার নিয়ম আছে। কোন মহিলার গায়ে হাত তুলিনি, শুধু এক বয়স্ক মহিলার হাতে থাকা কাপড়গুলো কেড়ে নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।

আরও পড়ুন