বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুকপাতা ইউনিয়নের ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
এতে বলা হয়, গত ৯ দিনে কুরুকপাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন। ৪ জনকে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ জন। এরাও সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পথে। আক্রান্তদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি বলেও জানানো হয় এ প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে আলীকদম উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি ৯টি পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা সুবিধা জোরদার করা হয়। মাঠপর্যায়ে কর্মীদের পাশাপাশি র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যদের সতর্কাবস্থা সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাঠ পর্যায়ে স্যালাইন, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধ করন টেবলেট সরবরাহ করা হয় ্আক্রান্ত রোগীদের মাঝে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সতর্কতার অংশ হিসেবে কুরুকপাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লীর বাসিন্দাদের মাঝে ১ হাজার ১১৫টি স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ১০ হাজার ৪০০টি, মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট ১ হাজার ৬৮০টি বিতরণ করা হয়। দোছরি বাজার এলাকায় দেয়া হয় ১০০টি করে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও জিংক ট্যাবলেট।
ডায়রিয়া পরিস্থিতির বিষয়ে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানায়, ডা. বেলাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃতে ৯ ও ১০ জুন এ ইউনিয়নের ৯টি পাড়ায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য কর্মীরা পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ডায়রিয়া রোগী সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবাসহ ঔষধ প্রদান করেন। এছাড়া দুর্গম পাড়াগুলোতে ইপিআই টিকা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, কারবারী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় এবং ম্যালেরিয়া টেস্ট করানো হয়।