আলীকদমে পাথর খেকোরা তৎপর : পরিবেশ বিপর্যয় ও পানি সংকটের আশঙ্কা

NewsDetails_01

প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার রিজার্ভ এলাকা থেকে ঝিরি খুঁড়ে অবাধে পাথর উত্তোলন করছে পাথর খেকোরা। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মেনথক কারবারি পাড়ার পাশে দুংশী খাল থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাথর উত্তোলন করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ঝিরিগুলো, ফলে পানি সংকটের কারনে কৃষি আবাদ কমছে ও স্থানীয়রা পড়ছে পানির সংকটে।

আরো জানা যায়, মোঃ ইলিয়াস ওরফে টুইট্যাঙ ইলিয়াসসহ কয়েকজন মিলে রিজার্ভ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে। পাথর উত্তোলন করে ভোল্টার সাইজের মজুত করে রাখা হয়েছে, যা আনুমানিক ৩০ হাজার ঘনফুট। প্রতি ঘনফুট (কাংক্রিট) পাথর বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০টাকায়।

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ইলিয়াস প্রথমে অস্বীকার করে বলে, আমি পাথর ব্যবসা করি না। পরে বলেন, আমি পাথর ভেঙেছি, তবে এখন পাথর নিচ্ছে না তাই বন্ধ রয়েছে।

NewsDetails_03

স্থানীয়রা জানান, পাথর উত্তোলন না করার জন্য ইলিয়াসকে অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ইলিয়াস পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। বছরের পর বছর ধরে পাথর উত্তোলন করার কারনে ঝিড়িগুলো এখন আর দৃশ্যমান পাথর দেখা যায়না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, জেলায় পাথর আহরণ নিষিদ্ধ হলেও পাথর উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসক থেকে আগের নেওয়া অনুমতি পত্র দিয়ে অনেকে বছরের পর বছর এলাকার সবকয়টি ঝিরি ও পাহাড় খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করছেন।

স্থানীয় মেম্বার রুমতুই ম্রো জানান, পাথর উত্তোলনকারীদের বেশ কয়েকবার নিষেধ করা শর্তেও পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমি সপ্তাহখানেক আগে গিয়ে সরাসরি নিষেধ করেছি। পাথর ভাঙার হাতুড়ি সহ কয়েকটি সরঞ্জাম রেখে দিয়েছি।

এই ব্যাপারে মাতামুহুরি বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কাসেম জানান, রিজার্ভ এলাকায় পাথর উত্তোলন হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি কয়েকদিন আগে। গতকাল সরজমিনে গিয়েছিলাম। তবে লোকেশান ভুল হওয়ার কারণে পাথরের মজুত রাখা স্থানে পৌঁছতে পারিনি, ফের অভিযান শুরু হবে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাথর উত্তোলনের অনুমতি নেই। যেসব স্থানে পাথর উত্তোলন চলছে, সেসব স্থানে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

আরও পড়ুন