আলীকদমে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অভিযোগে পাহাড়বার্তা’য় সংবাদ প্রকাশ, তদন্ত কমিটি গঠন

চলতি মাসের ১ মে “আলীকদমে রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ঐক্যজোট” শিরোনামে পাহাড়বার্তা’য় একটি নিউজের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নিউজের পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায়।

৩ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি রোহিঙ্গাদের ভোটারের অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিক ভাবে পেয়েছে বলে গেছে জানা যায়।

তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন, আলীকদম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো সোহেল রানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো আসাদুজ্জামান, উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার প্রবুজ বড়ুয়া। চলতি মাসে ৬ তারিখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন।

NewsDetails_03

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন নির্বাচিত প্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। রোহিঙ্গা ভোটারের অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাশ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জাকের হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন।

অনুসন্ধানে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার অভিনব কৌশলও সামনে এসেছে। ভোটার হওয়ার আবেদনকারী মো. ইব্রাহিম পিতার নামের জায়গায় শ্বশুরের নাম ব্যবহার করেছেন। আরেক আবেদনকারী জান্নাতুল মুন্নীর জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত পিতার নাম উল্লেখ থাকলেও অনুসন্ধানে তার বাবা জীবিত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আবুল কাশেম নামে আরেক রোহিঙ্গাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করে দিয়েছেন ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাশ।

এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, ইতোমধ্যে চিহ্নিত হওয়া রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন