আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দখলে !

NewsDetails_01

আলীকদমে বেদখল হওয়া জমির স্থাপনাসহ একাংশ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ শতক জমি খোদ এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের অবৈধ দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্ধযুগের বেশী সময় ধরে এ সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফ এ জমি নিজের দখলে রেখেছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও আজও বেদখল জমি উদ্ধার হয়নি। জমি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালে আলীকদম মানোন্নীত থানা ঘোষণার পর সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ২৮৮নং আলীকদম মৌজার ৭নং সিটের দাগ নং-৯৭৪, ৯৭৫, ৯৭৬ এর আন্দর ৬৪ শতক একর জমিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামো নির্মিত হয়। সেই থেকে ৬৪ শতক জমি স্বাস্থ্য বিভাগের অধিনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করে আসছে। ১৯৯৪ সালে উপজেলার চৌমুহুনীতে নির্মিত নতুন ভবনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থানান্তর হলে পুরাতন ভবন ও টিনসেট কোয়ার্টারগুলি খালি পড়ে থাকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা অফিস আদেশমতে এসব খালিঘরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কয়েকবছর পূর্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু জায়গায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভবন নির্মিত হয়। কিন্তু দখলদারকে উচ্ছেদ না করেই পুরাতন ভবনের জমির মাঝখানে ভবনটি নির্মিত হয়। এ ভবনের উত্তরে ১০ শতকের বেশী জমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফ। ইচ্ছেমত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিনসেট ঘরটির অবকাঠামোতে পরিবর্তন করেন তিনি। কোয়ার্টারসহ পার্শ্ববর্তী ০.১০ শতক জমি কথিত হেডম্যান রিপোর্ট নিয়ে দখলে চলে যায় এ সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকদফা অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদে উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তা শেষপর্যন্ত আলোরমুখ দেখেনি। ২০১৩ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান দখলদার সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফকে সরকারি হাসপাতলের এ জমি থেকে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এক আদেশে দখলদারকে উচ্ছেদ করার আদেশ দেন। কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বদলী হওয়ার কারণে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
২৮৮নং আলীকদম মৌজার হেডম্যান অংহ্লাচিং মার্মা বলেন, মাঠ খসড়ায় পুরাতন হাসপাতালের দাগের কিছু জমি খাস আছে। সেখান থেকে ইয়ায়িছন শরীফ কিছু জমি বন্দোবস্তির জন্য রিপোর্ট নিয়েছেন। তবে তার দাগ নম্বর আমার মনে নেই। অভিযুক্ত ইয়াছিন শরীফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমি দখলের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদুর রহমান বলেন, পুরাতন হাসপাতালের কিছু জায়গা বেদখল হওয়ার বিষয়টি আমি জেনেছি। সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

আরও পড়ুন