আলোচনায় পাহাড়ের রিন্টুু বিকাশ চাকমা

purabi burmese market

ঢাকা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের নেতৃত্বদানকারী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব) নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমাকেও কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়,আলোচিত এই রিন্টু বিকাশ চাকমার বাড়ি রাঙামাটি জেলায়। পার্বত্য জেলার সন্তান রিন্টু দেশের বহুল আলোচিত এই ঘটনায় জড়িত থাকার কারনে তিন পার্বত্য জেলায়ও তাকে নিয়ে খোদ চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

সোমবার (১৬ মার্চ) আরডিসি নাজিম উদ্দিনের দাবি করেন, সাংবাদিক আরিফুলকে তিনি মারধর করেননি, মেরেছেন সদ্য প্রত্যাহার হওয়া সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা। নাজিম আরো বলেন, আমি আরিফ (সাংবাদিক) ভাইকে মারিনি। আমাদের যে শাস্তি হওয়ার হয়েছে। ওই ঘটনায় আমাদের যাদের নাম এসেছে তাদের সবাইকে ওএসডি করা হয়েছে।

তার বিষয়ে আর কোনো প্রতিবেদন না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে নাজিম আরও বলেন, আমার দুটি বাচ্চা, স্ত্রী। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও বিবেচনা করুন।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নাজিম উদ্দিনের জন্য নতুন নয়। ২০১৮ সালে নাজিম উদ্দিন কক্সবাজারের ভূমি কমিশনার (এসিল্যাল্ড) ছিলেন। সে সময় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি ছিল নৈমত্তিক ঘটনা। এমনই একদিন নফু মাঝি নামে এক বৃদ্ধকে নির্যাতনের অভিযোগে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছিল।

dhaka tribune ad2

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয় ঢাকা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই ঘটনার নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রামের সাবেক আরডিসি নিজাম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম। এই অপরাধে ইতোমধ্যে ডিসি সুলতানা পারভীনসহ তাদের তিনজনকেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।