দেশে ১০০টি নতুন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার অংশ হিসেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সোনাইছড়ি ইউনিয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অথরটি (বিইজেডএ)-এর অধীনে বান্দরবান জেলা পরিষদ এর তত্বাবধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারাদেশে প্রাথমিক ভাবে ইতিমধ্যে ২১টি অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে শুরু হবে জমি অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া শেষ করে অবকাঠামোগত কাজ চলছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে মোট ১০০টি অঞ্চলেই বিশেষ এই ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। ভৌগলিক বিবেচনায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও সোনাইছড়ি র জোম খলা, বা জারুলিয়া ছড়ি, প্রস্তাবিত ৩০০ একর জমির অবস্থান পাশ্ববর্তী রামু কক্সবাজার সড়ক এর নিকটে হওয়ায় এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সহজ হবে যোগাযোগব্যবস্থা। প্রায় তিন শত কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে বৃহদাকার এই প্রকল্পে।
প্রকল্পাঞ্চল বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান, হবে কর্মসংস্থান। শিল্পায়ন এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এর পাশাপাশি দেশিয় শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি হবে এমনটি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বান্দরবন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা।
বান্দরবান জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি তড়িৎ গতিতে বাস্তবায়ন এর লক্ষে ও প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ করতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর তত্ত্বাবধান এ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি মাসে বেশ কয়েকবার তদারকি কমিটির সদস্য ক্যচা প্রু মার্মা, ক্যচিং চাক, অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ ও নাইক্ষ্যংচড়ি উপজেলা সার্ভেয়ার বেশ কয়েক বার প্রস্তাবিত ভূমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ শেষ করতে পারলে এবছরে এই কাজ শুরু হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য ক্যচা প্রু মার্মা। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, এই প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও আশার শেষ নেই।