ইসলামী ফাউন্ডেশনে বেতন পরিশোধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন
ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায় প্রকল্প)’ দ্রুত অনুমোদন, জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বকেয়া বেতন ভাতাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৭ মে ২০২৫) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন প্রকল্পের অধীন শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে চালু রয়েছে এবং ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৭ম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়। ইতোমধ্যে ৮ম পর্যায়ের পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ মুদ্রণ ও সরবরাহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকলেও জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কর্মরত জনবলকে কোনো বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মানববন্ধনে উত্থাপিত ৫ দফা দাবিগুলো হলো: ০১)প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন করে ঈদুল আজহার পূর্বে ৫ মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে; ০২) প্রকল্পের জনবলকে পদসহ রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ০৩)সপ্তম পর্যায়ের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অষ্টম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করতে হবে; ০৪) কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্ত করে যথাযথ বেতন প্রদান করতে হবে ও ০৫) শিক্ষকদের সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বক্তারা আরও জানান, গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ধর্ম উপদেষ্টা বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বকরণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া ১৪ মে ২০২৫ তারিখে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় জানানো হয়, ৫ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ থেকেই বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে, যা সকলের জন্য হতাশাজনক।
মানববন্ধন শেষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও প্রকল্প অনুমোদনসহ রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মো. কাইয়ুম হোসেন, ফিল্ড সুপারভাইজার মুহাঃ আব্দুল হালিম, মডেল কেয়ারটেকার মোঃ রুহুল আমিন এবং শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।