ইসলামী মতে নারীর গায়ে হাত তোলা অপরাধ, এটা চরম লজ্জারও : আলীকদমে নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে পাহাড়বার্তাকে মুফতি শফিউল আলম
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলাটির ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক শামশুল হুদা কর্তৃক দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে এক নারীসহ তার সন্তানদেরকে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও পাহাড়বার্তায় প্রকাশ হলে জেলা জুঁড়ে আলোচনা- সমালোচনা ঝড় উঠে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য মানুষের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান বিতরণ করে আলোর পথ দেখান, সমাজ থেকে অন্যায়- অত্যাচার দূর করবেন, তিনিই যদি নারী নির্যাতন করেন তাহলে আমরা কোথায় যাচ্ছি, কোথায় যাচ্ছে আমাদের সমাজব্যবস্থা। নারী নির্যাতনের এই ঘটনার আলোকে পাহাড়বার্তা জানতে চেয়েছে ইসলামী শরিয়ত অনুসারে আসলে সংঘটিত ঘটনাটি কতটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, আদৌ অপরাধ কিনা?
এই ব্যাপারে পাহাড়বার্তার নির্বাহী সম্পাদক এস বাসু দাশ’কে ফোনে আলীকদমের ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মুফতি শফিউল আলম বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে (মাদ্রাসার পরিচালক শামশুল হুদা কর্তৃক প্রকাশ্যে এক নারী নির্যাতন) এটা অবৈধ, ইসলামী শরীয়ত মতে একজন ব্যাগনা নারীর গায়ে হাত তোলা চরম অপরাধ, এটা অন্যায়। তিনি আরো বলেন, এটা চরম লজ্জারও।
ঘটনার পর সার্বিক পরিস্থিতির বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র এই ঘটনার কারনে আজ ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে অতিথিরা আসেনি, প্রশাসন মাহফিল বন্ধ করার কারনে মাহফিল আয়োজনে সবকিছু গুটিয়ে নিয়েছি। আমরা চাই পরিস্থিত ভালো হোক, সবাই মিলে মিশে থাকি, আমরা সবাই মানবিক আচরন করি।