চট্রগ্রামের বাকলিয়া থেকে চুয়েট পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে কাপ্তাই বেড়াতে আসেন ডা: সুদর্শন বড়ুয়া। কথা হয় তাদের সাথে ওয়াগ্গা ৪১ বিজিবি পরিচালিত প্যানোরোমা জুম রেস্তোরায়। তাঁরা জানান, ঈদ এর লম্বা ছুটি তাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন যানজট মুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানোর জন্য পর্যটন শহর কাপ্তাই এ তাদের আগমন। এর আগেও তারা পরিবার নিয়ে কাপ্তাই এ অনেকবার এসেছে। কাপ্তাই এর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র তাদের প্রিয়।
রাউজান থেকে আসা মো: ইমরান,রাংগুনিয়া থেকে আসা শারমিন আক্তার, চট্রগ্রামের বহদ্দার হাট থেকে আসা শাহাবুদ্দীন এর সাথে। সকলেই কাপ্তাই এর বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। ঈদ উল ফিতর এর টানা ৫ দিন বন্ধ থাকায় দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মতো এখন কাপ্তাই এর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিনোদন প্রেমিদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে ওয়াগ্গা জুম রেস্তোরা, বালুচর প্রশান্তি পিকনিক স্পট, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই লেক প্যারাডাইস বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত কাপ্তাই জীবতলি পিকনিক স্পট, কাপ্তাই আইল্যান্ড লেক ভিউ পিকনিক স্পট, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দলবেঁধে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে ঈদ এর ছুটি উপভোগ করছেন বিনোদনপ্রেমী লোকজন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, পর্যটন শহর হিসাবে খ্যাত কাপ্তাই এর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারেও বেশী পর্যটকদের আগমন ঘটছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় আইন শৃংখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। তিনি আরো জানান, কাপ্তাই এ পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য ভালো মানের আবাসিক হোটেল না থাকাতে দূর দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের অসুবিধা হয়। তিনি এই বিষয়ে পর্যটন কর্পোরেশন এর দৃষ্টি আকর্ষন করে কাপ্তাই এ আবাসিক হোটেল নির্মানের অনুরোধ জানান।