স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টার্মিনালটি চালু না করার কারনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌর শহরটি। লামা পৌর এলাকায় পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় লামা পৌরবাস টার্মিনালটি। উদ্বোধন করেন বর্তমান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর। এরপর ৫ মাসেও চালু না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের, এমনটাই মনে করছে স্থানীয়রা।
আরো জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম,চকরিয়া, কক্সবাজার, বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো রাস্তার পাশে পার্কিং করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। আবার গণপরিবহনগুলো রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। এ সময় স্টেশনের প্রধান সড়কসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রায়শ যানজট লেগে থাকে।
লামা থেকে বান্দরবান আসা মো. কাউছার আলী (বাস যাত্রী) বলেন, লামাতে বাস টার্মিনাল তৈরী হচ্ছে অনেক দিন কিন্তু এখনো চালু করতে পারছেনা। যার ফলে আমাদের প্রতিনিয়তি নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
২০১১ সালের আদমশুমারীর তথ্যমতে, লামা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। লামার নতুন টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় লামা পৌর ঈদগাঁ মাঠে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে বাস , ট্রাক,মিনিবাস। যার ফলে যাত্রী ও টিকেট কাউন্টারের স্টেশন মাস্টার ও বাসের হেলপারদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। তাছাড়া বর্তমানে অস্থায়ী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই কোন বসার বেঞ্চ বা পাবলিক টয়লেট ।
লামার মাতামুহুরি বাস সার্ভিসের চালক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাস স্টেশন চালু হবে শুনছি অনেক দিন কিন্তু এখনো চালু না হওয়ার ফলে আমাদের যাত্রীদের রাস্তায় নামিয়ে দিতে হয়। গাড়ী ঠিক স্থানে পাকিং করতে না পারার কারনে অনেক সময় যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়।
এই ব্যাপারে লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,বাজেট সমস্যা থাকার কারণে টার্মিনালটি এতোদিন চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি অতিশীঘ্রই এটি চালু করে জনসাধারনের জন্য উম্মোক্ত করতে পারবো।
এদিকে দ্রুত লামা পৌর বাস টার্মিনালটি চালু করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিং করার মাধ্যমে ভোগান্তি কমিয়ে লামা পৌরসভার সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা হোক এমনটাই দাবী স্থানীয়দের।