উপকারভোগীদের কাজে আসছেনা থানচির ক্রংক্ষ্যং পাড়ায় নির্মিত রাস্তা

NewsDetails_01

থানচির ক্রংক্ষ্যং পাড়ায় নির্মিত রাস্তা ঝোপ জংঙ্গলে ঢাকা
বান্দরবানে থানচি উপজেলার বলিপাড়া থানচি সড়ক হতে ক্রংক্ষ্যং পাড়া যাওয়ার জন্য নির্মিত রাস্তা ও বিদ্যুৎতিক খুঁটির তার অযত্নে অবহেলা ও অরক্ষিত পড়ে রয়েছে। অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজ জনসাধারনে কোন উপকার আসে না। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে রাস্তাটি রক্ষনাবেক্ষনে কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি, এমন অভিমত স্থানীয়দের।
জানা যায়, থানচি উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন গ্রাম মহল্লায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নের ২০১৩-১৫ অর্থসালে তিন বছর মেয়াদে বলিপাড়া থানচি সড়ক হতে ক্রংক্ষ্যং পাড়া পর্যন্ত মাটি কেটে রাস্তা নির্মানে প্রথম ধাপ ১৭ লক্ষ, একই অর্থসালে ইট সলিং কাজে ২য় ধাপে ৩৭ লক্ষ সর্বমোট ৫৪ লক্ষাধিক টাকা অর্থ বরাদ্ধ দেয়া হয়। প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তা নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দখি এন্টারপ্রাইজকে রাস্তা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দেন। রাস্তা নির্মানে কোন প্রকার জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্ভোধনের নাম ফলকও করা হয়নি।
রবিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে গেলে বলিপাড়া থানচি সড়ক হতে ক্রংক্ষ্যং পাড়া যাওয়ার রাস্তা চোখে পড়ে, রাস্তা উপর দিয়ে ক্রংক্ষ্যং পাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বিদ্যুতিক খুটি ও তার সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে । পাড়ার পর্যন্ত মাটি কাটা হলে ও ৫শত গজের মতো ঠিকাদার সংস্থা কর্তৃক ইট সলিং কাজের বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি অংশ ঝোপ জংঙ্গল যানবাহন চলাচলে উপযোগী না হলে ও সাধারণ মানুষ পাঁয়ে হেঁটে যাতায়াত করার পর্যন্ত উপযোগী হয়নি।
পথচারী হৈকো খুমি (৫৪) মেনরোয়া ম্রো (৫৫) সাথে কথা হলে তারা জানান, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমাদের যাতায়াতের জন্য সরকার রাস্তা নির্মাণ করলেও আমরা কোন প্রকার সুফল ভোগ করতে পারিনি। বৃষ্টির দিন আসলে যাতায়তের অনেক ভোগান্তি হবে আমাদের ।
ইট কারা তুলে নিয়েছে জানতে চাইলে এলাকা বাসী জানায়, ঠিকাদার সংস্থার লোকেরা বড় বড় গাড়ি নিয়ে এসে ইট রাতারাতি রাস্তা থেকে তুলে নিচ্ছে । তারা সময় সুযোগে গাড়িতে করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ।
এই ব্যাপারে উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী আবু বিন মোঃ ইয়াছির আরাফাত জানান, আমার দায়িত্ব ২০১৮ সালে, তার আগের প্রকল্প সম্পর্কে বলা সম্ভব নয় ।
এদিকে এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপকাভোগীরা।

আরও পড়ুন