উপজেলায় চাকরি ভালো না লাগলে ছেড়ে দেন, চিকিৎসকদের প্রধানমন্ত্রী

purabi burmese market

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জেলা বা উপজেলা হাসপাতালে নিয়োগ পেয়ে যেসব চিকিৎসক সেখানে যান না, তাদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি চিকিৎসকদের সতর্ক করে বলেন, যারা মফস্বল ছেড়ে শহরে চলে আসে তাদের চাকরি করার দরকার নেই। দয়া করে তারা বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যাক। আমরা নতুন নিয়োগ দেবো।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অর্থ দ্বারা সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাপান থেকে আনা সর্বাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিককে। প্রথম ধাপে সাতটি দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫শ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে। একই অনুষ্ঠানে সরাকরি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে গেলে বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা না করে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য একটি তহবিল করার নির্দেশও দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে ডাক্তারকে আমরা নিয়োগ দিচ্ছি, যেই আমরা পাঠাচ্ছি উপজেলায়, সেখানে না থেকেই চলে আসে। সরকারি চাকরি হলেই এই সমস্যাটা হয়। যেই আমরা নিয়োগ দিচ্ছি, যেকোনোভাবে কায়দা করে ঢাকায় এসে বসে থাকে। সরকারি চাকরি যদি কারও ভালো না লাগে, তাহলে তা ছেড়ে ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে। এখন অনেক প্রাইভেট ক্লিনিক আছে, তাতে কোথাও যদি তারা চাকরি পেয়ে যায়, তাহলে খুব ভালো কথা, ট্রেইনিং দিয়ে আমরা নতুন নিয়োগ দেব। কারণ প্রতিনিয়ত ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে আমার ওখানে দেবো, কিছু ট্রেইনিং করবে, কিছু সার্ভিস দেবে, আরেক জায়গায় যাবে, এটা কোনো বিষয়ই না, এটা নিয়ে মনে হয় এতটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজনও নাই।’

এই প্রশিক্ষণের জন্য একটি তহবিল করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তহবিল না করলে অন্য কেউ সরকারে আসলে এই উদ্যোগ বন্ধ করে দেবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চালু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে চিকিৎসা পেলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে, আমাদেরকে কেউ ভোট দেবে না- এই কথাটা বলে (কমিউনিটি ক্লিনিক) বন্ধ করে দিয়েছিল। এ রকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেউ, এটা চিন্তাও করা যায় না।

উপজেলা ও মফস্বল পর্যায়ে ডাক্তারদের আবাসন সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সমস্যা আমি খুঁজে বের করেছি, তাদের আবাসিক সমস্যাটা। উপজেলায় গেলে সেখানে তাদের থাকার খুব একটা জায়গা নেই।এসময় উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকসহ সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে ইতোমধ্যে গণপূর্তকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান তিনি।

dhaka tribune ad2

স্বাস্থ্যসেবায় আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমরা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।