রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর আকস্মিক মৃত্যুতে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী নিজের ফেসবুক আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পারভেজ চৌধুরী লিখেছেন, জনাব আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী,বিলাইছড়ি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত কারনে আজ সকালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন। অত্যন্ত বিনয়ী একজন স্বল্পভাসী মানুষ ছিলেন।
অনেকটা চিকিৎসার অভাবেই মারা গেলেন বলতে হয়। পুরো চট্টগ্রামে আইসিইউ সাপোর্ট সবাই মিলে চেষ্টা করার পরেও ব্যর্থ হই সকলে, অবশেষে মুমূর্ষু অবস্থায় সারারাত চট্টগ্রাম মেডিকেল হতে ভোর বেলায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
খুব কষ্ট লাগছে এই ভেবে যে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এখনো এতোটা পিছিয়ে যে একজন সরকারি কর্মকর্তা তার দাপ্তরিক সকল মাধ্যমে ও আমাদের সকলের প্রচেষ্টার পরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা টুকু পেলেন না। একজন খুব সাধারণ জনগনের কথা চিন্তা করতে গেলে মাথা কাজ করে না।
তার স্ত্রী ( ভাবি) অসুস্থতার পরবর্তী সময় থেকে আমাকে খালি একটি কথাই বলছিলেন যে ভাই আপনার উপরই ছেড়ে দিলাম আল্লাহ আর আপনি এখন উনাকে বাচাতে পারেন। আপনি আমার ভাই। আপনি আমাদের একটু সাহায্য করেন। আমাদের কেউ নেই আর তিনটি ছোট মেয়েকে নিয়ে আমি কি করবো। আল্লাহর দোহাই আমাদের এই বিপদ হিতে রক্ষা করুন। কিছুই করতে পারলামনা। আমরা কেউই কিছুই করতে পারিনি। কিছু দিন আগে ঢাকায় বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। করনা পরিস্থিতির কারনে উনাকে ঐ সুযোগ টাও দিতে পারিনি এই জন্য নিজেকে অনেক বড় অপরাধী লাগছে। লাশটাকেই পরিবার দেখতে হবে এতদিন পরে, জীবিত আনোয়ার কে তার পরিবার দেখতে পারলোনা একটি বার।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনোয়ারুল ইসলাম নামের ওই প্রকৌশলী। আনোয়ারুল ইসলাম চলতি বছরের মার্চে বিলাইছড়ি এলজিইডিতে যোগদান করে। তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি রাজশাহীর আলব নগর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।