উৎসব আমেজ আলীকদমের পাহাড়ী পল্লীতে
পাহাড়ের প্রধান উৎসব‘সাংগ্রাই বিজু বৈসুক বিষু সাংক্রান বিহু’কে কেন্দ্র করে বান্দরবানের আলীকদমের প্রতিটি পাহাড়ী পল্লী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। নানা সাজে সাজছে প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পল্লি। বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে পাড়ায় পাড়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
উৎসবকে ঘিরে জেলার আলীকদম বাজারের কাপড়ের দোকান, সাজসজ্জার দোকান ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য নিত্যদ্রব্যের দোকানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। করোনা মহামারীর পর পাহাড়ী বিভিন্ন জনগোষ্ঠির এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বেচাকেনায় দম ফেলারও সময় পাচ্ছেন না বিভিন্ন সাজসজ্জার ও কাপড় দোকান মালিকরা।
বাঙ্গালীর নববর্ষ আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে মার্মা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই, চাকমা সম্প্রাদায়ের বিজু, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈষক, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিষু, ম্রো সম্প্রদায়ের সাক্রান এভাবে বিভিন্ন নামে নতুন বছর উদযাপন করে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাহাড়ী পল্লীগুলোতে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নানা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়।
আলীকদম বাজারের নিত্যদিন ফ্যাশনের মালিক উথোয়াই রাখাইন বলেন, বৈসাবী উপলক্ষে আলীকদম বাজারে ক্রেতা ভরপুর। বিশেষ করে পাহাড়ী তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি দোকানে তুলনামূলক বেশী। নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোষাকের পাশাপাশি নতুন বছরের বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় কিনতে ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছে এবারের উৎসবে।
মুদির দোকানদার মোঃ নাজিম ও তরকারী বিক্রেতা সাইফুল বলেন,ঈদের পরে সবচেয়ে বেশি বেচাবেনা হয় বৈসাবী উৎসবকে ঘিরে। উৎসবকে ঘিরে কয়েকদিন বেচাকেনা চলবে পুরো দমে।
জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মার্মা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর পর বৈসাবী উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কিয়াং (বৌদ্ধ বিহার) ও পাড়া ভিত্তিক নিজ নিজ সম্প্রদায় তাদের রীতি অনুযায়ী উৎসব পালন করবে। জেলা পরিষদের থেকে বিভিন্ন পাড়ায় জলকেলিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে কিছু অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে।
আলীকদম থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) মোঃশফিকুল রহমান জানান, সাংগ্রাই, বিজু, বৈষু ও বাংলার নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন পাড়ায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। সবাই যাতে নিজ নিজ উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক প্রস্তুত রয়েছে।