এক দিনের জন্য বিদ্যালয়ের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
বান্দরবানে রিভার্স ডে
বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে রিভার্স ডে উদযাপন করা হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ, দায়িত্ববোধ সৃষ্টি ও দেশপ্রেম জাগ্রত করাই এই রিভার্স ডে উদযাপনের মুল লক্ষ্য। বছরের একটি দিন বিদ্যালয়ের সকল দায়িত্ব পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করার এই প্রয়াসে খুশি অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
আজ ২৮ মার্চ (সোমবার) সকাল থেকেই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা সদরের এতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে রিভার্স ডে উদযাপন করা হয়। সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সকল প্রকার দায়িত্বশীল পদে অবস্থান করে ছায়া ভূমিকা পালন করছে।
কোন কোন শিক্ষার্থী শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করছে শ্রেণী কার্যক্রম আর কেউ কেউ বিভিন্ন প্রকার দায়িত্বশীল পদে আসীন হয়ে পরিচালনা করছে বিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রম। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের দায়িত্বে একজন করে শিক্ষার্থী দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করছে প্রতিষ্টানের একদিনের সকল কর্মকান্ড,আর বছরের একটি দিন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব পেয়ে খুশি সকল ছায়া শিক্ষক।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে,আগামীদিনে সু-নেতৃত্ব সৃষ্টি করা, আর নবীন শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ, দায়িত্ববোধ সৃষ্টি ও দেশপ্রেম জাগ্রত করাই এই রিভার্স ডে উদযাপনের মুল লক্ষ্য, আর এতে করে শিক্ষার্থীরা নতুন অভিজ্ঞতা লাভের মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও দায়িত্বশীল ভূমিকায় কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে।
বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর অধ্যক্ষ লে.কর্ণেল সিরাজুল ইসলাম উকিল (পিএইচডি,এইসি) বলেন, নবীন শিক্ষার্থী তথা তরুন প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী,দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা রিভার্স ডে উদযাপনের মুল লক্ষ্য। আর এখন থেকে প্রতিবছরই বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এ ২৮ মার্চ রিভার্স ডে উদযাপন করা হবে।
অধ্যক্ষ আরো বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করেছি ১দিনের জন্য আর এই নির্বাচিত এই শিক্ষার্থীরা ১দিনের জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল দায়িত্ব পালন করছে।
২০০০ শিক্ষার্থী আর ৩১০জন শিক্ষকের সম্মিলনে পরিচালিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর এমন কর্মকান্ড আগামী প্রজন্মের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং দায়িত্ববোধ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের।