এক নজরে বান্দরবান ৩০০নং আসন

NewsDetails_01

সমানে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনওয়ারী ১৯৭৩ থেকে ২০১৪র নির্বাচন পর্যন্ত বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর নাম, দলীয় পরিচয় এবং প্রতীক তুলে ধরা হলো।

১৯৭৩ সাল- বিজয়ী মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা (স্বতন্ত্র) (২৯৯ নং আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম-১)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
বিজয়ী- চাই থোয়াই রোয়াজা (স্বতন্ত্র) (৩০০নং আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম-২)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
১৯৭৯ সাল- বিজয়ী উপেন্দ্র লাল চাকমা (জাসদ) (২৯৯ নং আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম-১)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
বিজয়ী- অং শৈ প্রু চৌধুরী (স্বতন্ত্র) (৩০০নং আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম-২)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
১৯৮৬ সাল- বিজয়ী মং শৈ প্রু চৌধুরী (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল, (৩০০নং আসন)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
১৯৮৮ সাল- বিজয়ী মং শৈ প্রু চৌধুরী (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল, (৩০০নং আসন)। পরাজিত প্রার্থীর নাম ও দল সম্পর্কে জানা যায়নি।
১৯৯১ সাল,বিজয়ী বীর বাহাদুর উশৈসিং (নৌকা) আওয়ামী লীগ। পরাজিত আমিনুল হক আজাদ (দাড়িপাল্লা) জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ।
১৯৯৬ সাল, বিজয়ী বীর বাহাদুর উশৈসিং (নৌকা) আওয়ামী লীগ। পরাজিত সাচিং প্রু জেরী (ধানের শীষ) বিএনপি।
২০০১ সাল, বিজয়ী বীর বাহাদুর উশৈসিং (নৌকা) আওয়ামী লীগ। পরাজিত ম্যাম্যচিং (ধানের শীষ) বিএনপি।
২০০৮ সাল, বিজয়ী বীর বাহাদুর উশৈসিং (নৌকা) আওয়ামী লীগ। পরাজিত সাচিং প্রু জেরী (ধানের শীষ) বিএনপি।
২০১৪ সাল, বিজয়ী বীর বাহাদুর উশৈসিং (নৌকা) আওয়ামী লীগ। পরাজিত প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা (টেবিল ঘড়ি) স্বতন্ত্র।

►► বর্তমান ভোটার সংখ্যা

ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৫০জন। মহিলা-১লক্ষ ১৪ হাজার ৬৯৩। পুরুষ- ১লক্ষ ২৫ হাজার ৯৫৭জন। জনসংখ্যা-৪লক্ষ,৪হাজার ৯৩জন।

NewsDetails_03

►► জেলার মোট জনসংখ্যা ও নির্বাচনী আসনের আয়তন
মোট জনসংখ্যা-৪লক্ষ,৪হাজার ৯৩জন। আয়তন-৪হাজার ৪শ ৭৯ দশমিক ০১। নির্বাচনী আসনের আয়তন-৪হাজার ৪শ ৭৯ দশমিক ০১।

►► আসনওয়ারী বাসিন্দাদের পেশা ও জাতি বৈচিত্র্যের তথ্য এবং অর্থনৈতিক অবস্থান
বম,চাকমা,মারমা, লুসাই, তংচঙ্গ্যা,পাংখোয়া,খুমি,ত্রিপুরা, ম্রো, চাক, খ্যায়াং, ১১টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী ও বাঙালী সম্প্রদায় নিয়ে বান্দরবান।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা দূর্গম পাহাড়ী এলাকা হলেও এটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বিধায় জাতীয় পর্যায়ে এ জেলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত অশ্রেণীভূক্ত বনাঞ্চল মূল্যবান কাঠ ও বনজ সম্পদে পরিপূর্ণ। এ জেলার উৎপাদিত প্রধান বনজ দ্রব্যের মধ্যে সেগুন, গামারী, গর্জন, শিল কড়ই, তৈলসুর ইত্যাদি মূল্যবান কাঠ ও বাঁশ প্রধান।
কৃষিজ দ্রব্যের মধ্যে আনারস, কলা, পেঁপে, কমলা, লেবু ও আলু সর্বোচ্চ উৎপাদিত ফসল। তবে এই অঞ্চলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য প্রচুর বিনি চাল উৎপাদন। সাদা, লাল ও কালো, এই তিন রকমের বিনি চালের উৎপাদন এই অঞ্চলে দেখা যায়। তাছাড়া,এই অঞ্চলের জুমের ভুট্টার স্বাদ বেশ সুস্বাদু। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের সমাহার ও বৈচিতময় সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্মৃদ্ধ বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঠিক যেন ছবির মত। এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে পর্যটন-কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন