এবার আলীকদম, থানচিতে দেশি বিদেশী পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ

বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার ৭টি উপজেলার রুমা ও রোয়াংছড়ির পর এবার থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করলেও রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রশাসন এক নিদের্শনায় থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করে।

NewsDetails_03

রোববার রাতে মো: লৎফুর রহমান (উপ সচিব), জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, জেলার থানচি ও আলীকদম উপজেলায় শসস্ত্র বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের উপস্থিতির বিষয়ে সু-নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়নের এক পত্রের আলোকে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার মূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আলীকদম ও থানচি উপজেলার স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটক ২৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। তবে কবে নাগাদ জেলার এই ৪ উপজেলায় পর্যটক নিষিদ্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হবে এ বিষয়ে এখনও প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটি বিলাইছড়ির সাইজামপাড়ার দূর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ১০ দিনের অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭জন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কে এনএফ) ৩জনসহ মোট ১০ সদস্য কে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরাঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব, এসময় তাদের একটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়। আর এঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে জেলার একের পর এক উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করা ও যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারসহ শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কারনে জেলা জুঁড়ে আতংক বিরাজ করছে। ফলে জেলায় পর্যটক আগমন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল এখন পর্যটক শূন্য। ফলে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়িরা পড়েছে চরম বেকায়দায়।

আরও পড়ুন