কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও অ্যারাবিক) সমমানে জাতীয় সংসদে বিল পাস হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে মিছিলে অংশ নেন বেফাকের নেতা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
সভাপতির বক্তব্যে বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত। এই মাদ্রাসা থেকে চোর, ডাকাত, জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজ তৈরি হয় না। আদর্শবান, দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি হয়। তারাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।’

বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আন্দোলন অনেক হয়েছে। কিন্তু মূল্যায়ন হয়নি। ব্রিটিশ সরকার কওমি মাদ্রাসাকে মূল্যায়ন করেনি,পাকিস্তান সরকারও করেনি। বাংলাদেশ হওয়ার পর বিগত সরকারগুলোও আমাদের এই দাবির পক্ষে বাস্তবসম্মত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা বর্তমান সরকারের এই সাহসী ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
মজলিসে আমেলার সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, যাদেরকে আমরা বন্ধু মনে করতাম,তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যাদের দিয়ে উলামায়ে কেরামের, কওমি মাদ্রাসার এবং ইসলামের উপকার হবে,যে যা-ই ভাবুক আমরা তাদের পক্ষে থাকবো। তাদের সমর্থন দিয়ে যাবো।’
আনন্দ মিছিলে অংশ নেন বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আল হাইয়্যাতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়্যা বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আশরাফ আলী,মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস,মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মুফতি ফয়জুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মজলিসে আমেলার সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা নুরুল আমীন, মাওলানা মুসলেহউদ্দিন রাজু, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।