কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের আস্থার প্রতীক। সরকার ২৭ রকমের ওষুধ এ ক্লিনিকে সরবরাহ করে । বিনামূল্যে দেয়া হয় এ ওষুধ। আগামীতে এই ক্লিনিকে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ (ব্লাড প্রেসার) এর ওষুধ দিতে পারে সরকার। এতে প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপে ভোগা রোগীরা উপকৃত হবেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে হোটেল হিলভিউ কনফারেন্স কক্ষে কমিউনিটি ক্লিনিক এর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকারভোগীদের সাথে ইন্টারফেইস মিটিং এ বান্দরবান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভানু মারমা একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যত্র তত্র ব্যবহার রোধের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে কয়েকধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে সরকার। এছাড়াও জেলা সদরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ২০ টি সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ডভিশনের সিভিএ গ্রুপ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে গ্রাউস এর বাস্তবায়ন এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক দোলন কান্তি দাশ, সেনিটারি ইন্সপেক্টর মিথুন বড়ুয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা সদরের জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য সিং শৈ মারমা, গ্রাউস এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার উসাই মং মারমা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার টুলু মারমা,ওয়ার্ল্ড ভিশন স্পনসরশীপ চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার ভজন চিরান, গ্রাউস এর চেয়ারম্যান মংথোয়াই চিং মারমা ।
আয়োজকরা জানান, পাহাড়েও কমিউনিটি ক্লিনিক আস্থার প্রতীক। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৩০ হাজার এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ৬ হাজার জনকে সেবা দেয়া হচ্ছে। কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য সেবা, শিশু পরিচর্যা, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ বিভিন্ন সেবা দেয়া হয় এই ক্লিনিকের মাধ্যমে। সেবা নিশ্চিতে সরকারের সাথে যুক্ত আছে এনজিও এবং জনপ্রতিনিধিরা।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয় উপকারভাগীরা। এর আগে জেলা সদরের ক্লিনিকগুলোর বিভিন্ন সমস্যা প্রেজেন্টেশন আকারে তুলে ধরেন সিভিএ সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, দুই শতাধিক উপকারভোগী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।