করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে রাঙামাটির মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। এর প্রভাব পড়েছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালে রোগীর ভিড় বললেই চলে। তবে, ডাক্তার ও নার্সরা রয়েছেন সর্বদা সতর্কাবস্থায়।
আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতেন এখন তা নেমে এসেছে ৫০-এ। আর আউটডোরে চিকিৎসা পেতেন ৪০০ রোগী।
কিন্তু গত বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে গড়ে প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসার জন্য টিকিট নিয়েছেন ৮০ থেকে ১০০ জন।
শনিবার (২৮মার্চ) রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে, যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন সবাইকে রোগের ধরণ বুঝে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সাধারণ সময় যেখানে চিকিৎসাসেবা পেত আনুমানিক ১ থেকে ১৫০ জন। সেখানে বর্তমান সময়ে চিকিৎসা নিচ্ছে মাত্র ৫০ জন। আউটডোরে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য টিকিট নিচ্ছেন ৮০ থেকে ১০০ জন। যা আগে ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ জন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাঝে করোনা আতংক ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে অাসার কারণ হতে পারে। করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানান, করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বেড, প্রাথমিক ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সরাও প্রস্তুত রয়েছেন। তবে, জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন খবর আমরা পাইনি।
জানা গেছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে রাঙামাটির মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সাধারণ শারিরীক অসুস্থতায় মানুষ ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাছাড়া করোনা আতঙ্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মানুষ সাধারন অসুস্থতায় হাসপাতাল মুখি হচ্ছে না বলে জানা গেছে।