এ মাসের মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৬০ হাজারেরও মানুষ নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশে নতুন করে ৬৪,৩১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ১৬ মাস আগে দেশে প্রথম এ ভাইরাস শনাক্তের পর, এ মাসেই কোভিড মহামারি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (৭ জুলাই) দেশে প্রথমবারের মতো একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ২শ’ ছাড়িয়েছে। তাছাড়া, জুলাইয়ের ৭ দিনে গড়ে দৈনিক মৃত্যুসংখ্যাও ছিল ১শ’ এর উপরে।
যেখানে, এ বছরের জানুয়ারিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১,৬২৯ জন। এপ্রিলেই তা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। জুনে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জনে। অন্যদিকে, এ মাসের প্রথম সপ্তাহেই ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
প্রসঙ্গত, গত মাসে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর গত ১ জুলাই দেশে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। প্রথমে ৭ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলছেন, জনগণ যদি যথাযথভাবে লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানে তাহলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা যত সংখ্যক রোগীর আশঙ্কা করছে তার চেয়েও রোগীদের সংখ্যা বাড়বে।
বুধবার ভার্চুয়াল বুলেটিন চলাকালীন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের পরিচালকের (ডিজিএইচএস) মুখপাত্র প্রফেসর ড. নাজমুল ইসলাম এ বিষয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গত এক সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক ছিল। যাদের বয়স ৫০ এর উর্ধ্বে তাদের মধ্যেই সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। আগে ঢাকা বিভাগে মৃতের সংখ্যা বেশি ছিল। তবে গত কয়েকদিনে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগেও মৃত্যুর হার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “যদি সংক্রমণের এই উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে তবে জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা এপ্রিল ও জুনের চেয়ে ছাড়িয়ে যাবে। লকডাউন বা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের কারণে যদি রোগীদের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমরা আরও একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো।”