কর্ণফুলী নদীতে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কাপ্তাইয়ের দুর্গাপুজা

purabi burmese market

রাঙামাটির কর্ণফুলী নদীতে শুক্রবার বিকেলে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে শেষ হলো কাপ্তাইয়ের শারদীয় দুর্গাৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এইসময় কাপ্তাই উপজেলার ৭ টি মন্দিরের পুজারীরা পৃথক পৃথক ভাবে তাদের মন্দিরের প্রতিমাগুলো বোটে তুলে কর্ণফুলী নদীর বড়ইছড়ি, কয়লার ডিপু, নারানগিরি, রাইখালী এবং চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট প্রদক্ষিণ করে বিকেল সাড়ে ৫ টায় নদীতে প্রতিমা বিসর্জ্জন দেন। এইসময় ঢাক, ঢোল, কাঁসা, ঘন্টা বাজিয়ে ভক্তরা অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে মা দুর্গাকে বিদায় জানান। এই প্রতিমা বিসর্জ্জন অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য কর্ণফুলী নদীর দু’ পাড়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।

কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সুষ্ঠুভাবে যাতে প্রতিমা বিসর্জ্জন হয়, সেইজন্য উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক একটি মনিটরিং টিম কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান নিয়ে বিজয়া দশমীর এই প্রতিমা বিসর্জ্জন কার্যক্রম তদারকি করেন।

এসময় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঈনুল হোসেন চৌধুরী, কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, কেপিএম লিমিটেডের জিএম (এমটিএস) প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার, কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, উপদেষ্টা বাবুল কান্তি দে, সাবেক সভাপতি সমলেন্দু বিকাশ দাশ’সহ সভাপতি প্রিতীষ চন্দ্র দে কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বিশ্বাস বাবলু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঝুলন দত্ত’সহ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।