কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটক বরণে প্রস্তুত
পর্যটন শহর হিসাবে খ্যাত রাঙামাটির রুপসী কাপ্তাই উপজেলা। একপাশে কাপ্তাই লেক, পাহাড় আর লুসাই পাহাড় হতে উৎপন্ন হওয়া কর্ণফুলী নদী এই উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে। পাহাড়, নদীর অপুর্ব মেলবন্ধনে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে প্রকৃতি প্রেমীদের। আর তাই প্রতিবছর প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসে এই উপজেলায়।
তবে ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে হাজারো পর্যটক এর আগমন ঘটবে এই উপজেলায়। ইতিমধ্যে পর্যটক বরণে প্রস্তুত করা হচ্ছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটকদের আনন্দ দিতে কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হচ্ছে নান্দনিক সুব্যবস্থা।
কাপ্তাই উপজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁষে অবস্থিত কাপ্তাই জেটিঘাট সংলগ্ন লেকভিউ আইল্যান্ড ও জীবতলি লেকশোর পর্যটন স্পট এবং নৌ বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট।
এছাড়া কর্ণফুলীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শীলছড়ি বালুরচর বন বিভাগের প্রশান্তি পার্ক, ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা রিভার ভিউ পার্ক, শিলছড়ি হাজীর টেক নিস্বর্গ রিভার ভ্যালী ও নিস্বর্গ পড হাউস।
এসব বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে হাউস বোট এবং নদীতে কায়েকিং এর সুযোগ সুবিধা রয়েছে ।
কাপ্তাই নিস্বর্গ রিভার ভ্যালি ও পড হাউসের পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দীন জানান, ঈদে আমাদের এই রিসোর্টে প্রতিবছরই প্রচুর পর্যটক আসে, এবারেও আমরা ধারণা করছি ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে এখানে। এছাড়া পর্যটকদের সর্বোচ্চ আনন্দ দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
কাপ্তাইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ওয়াগ্গাছড়া রিভার ভিউ পার্ক এর দায়িত্বরত ম্যানেজার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে আকর্ষনীয় করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রটি। ঈদে পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠবে এমনটা প্রত্যাশা আমাদের।
কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কের ম্যানেজার শাওন জানান, আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বেশ আগ্রহ থাকে কর্ণফুলী নদীতে কায়াকিং করা। তাঁদের কথা চিন্তা আমরা নবরুপে সাজিয়েছি এই বিনোদন কেন্দ্রটি।
কাপ্তাই বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্র বনশ্রী কমপ্লেক্সের পরিচালক প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার জানান, রুপসী কাপ্তাইয়ের সৌন্দর্য অবলোকন করতে বছরের প্রতিটি সময় এখানে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, ঈদে কাপ্তাইয়ে প্রচুর পর্যটক আসবে। তাই আমাদের নিয়মিত টহল পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নজরদারি থাকবে পর্যটন কেন্দ্র গুলোর দিকে।