রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর দূর্গম ২ নং ওয়ার্ড এর ১১৯নং ভার্য্যাতলী মৌজায় অবস্থিত একমাত্র সরকারি কমিনিউটি ক্লিনিক ভার্য্যাতলী কমিউনিটি ক্লিনিক,যা ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়।
কাপ্তাই সদর হতে ২৫ কিঃমি দূরত্বে অবস্থিত এই এলাকায় যেতে নৌ যোগাযোগ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কাপ্তাই ইউনিয়ন এর দূর্গম ১,২,ও ৩নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি সম্প্রদায়ের একমাত্র সেবা নেয়ার ভরসা এ কমিউনিটি ক্লিনিক। এখানে সরকারিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেলেও এই কমিউনিটি ক্লিনিকে নেই কোন পানির সু-ব্যবস্থা। একাবারে জরাজীর্ণ হয়েছে এই ক্লিনিকটি। মাঝে মাঝে ভবন হতে খসে পড়ে পাথর। যার ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় এখানকার কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের। দুর্গম ৪ হতে ৫ কি: মি: পথ পাড়ি দিয়ে আসা রোগীরা পড়েন বিপাকে।
সম্প্রতি এই প্রতিবেদক যায় দূর্গম এই কমিউনিটি ক্লিনিকে। এসময় দূর্গম পাহাড়ী পল্লী হতে চিকিৎসা নিতে আসা লিপি মারমা, মিনতি তনচংগ্যা জানান, আমরা মাতৃসেবা, বিভিন্ন টিকা গ্রহন ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসি এই ক্লিনিকে। এখানে একটু পানি পান করবো বা টয়লেট করবো তার কোন সুযোগ নেই। ছোট, ছোট শিশুরা পানি চাইলে একটু পানি পাওয়া যায়না। ক্লিনিকের ভিতর বাহিরের অবস্থা খুবই নাজুক। এখানে বসে স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার মত কোন সুযোগ নেই।
কমিনিউটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটর লিপি চাকমা ও স্বাস্থ্য সহকারী সঞ্জিত তনচংগ্যা জানান, পাহাড়ের অনেক দূর দূরান্তর হতে অসহায় পাহাড়ী মহিলা, পুরুষ, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা এখানে সেবা নিতে আসেন। কিন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে নেই কোন পানি। ক্লিনিকের অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ। আমাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।
ভার্য্যাতলী কমিনিউটি হেলথ কেয়ার সভাপতি ইউপি সদস্য অংসাচিং মারমা জানান, দূর্গম এলাকার লোকজন হাসপাতালের বিভিন্ন সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এই ক্লিনিকের বাহির ও ভিতরের অবস্থা খুবই খারাপ। নেই কোন পানির ব্যবস্থা বা বসার ব্যবস্থা। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ভার্য্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা জানান, এখানে পানির সমস্যা সমাধানে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ হতে একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যা চলমান আছে। পানির সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
গত ৭ জুন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে কমিনিউটি ক্লিনিক পরির্দশন করে। এসময় তিনি এই কমিউনিটি ক্লিনিক মেরামতসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অবগত করবেন বলে জানান।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাসুদ আহমেদ চৌধুরী জানান, এই বিষয়ে রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জনকে ইতিমধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।