কাপ্তাইয়ে জমে উঠছে পশুর হাট : দেশী গরুর চাহিদা বেশি
কোরবানকে সামনে রেখে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের একমাত্র পশুর হাট নতুনবাজার আনন্দ মেলা মাঠ জমে উঠেছে।
গত সোমবার এই হাটে গিয়ে দেখা যায়, এবার কোরবানি ঈদে দেশীয় পাহাড়ী গরুর কদর একটু বেশি। যার ফলে পশুরহাটে পাহাড়ী গরুর দামও একটু বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। দুরদুরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতার আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছে এই পশুর হাট।
বিক্রেতা রমজান ও বশর জানান, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড়ী বিভিন্ন জাতের গরু আনা হয়েছে এই হাটে বিক্রির জন্য। বিশেষ করে রাঙামাটির মাইনী, মারিশ্যা, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়িসহ নানা এলাকা হতে ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে পশু নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা।
তারা জানান, সারা বছর যাবৎ পাহাড়ে জঙ্গলে গরু ছেড়ে দিয়ে লালন-পালন করেন তারা। পশুরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ঘাস, লতাপাতা খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে থাকে। এদের কোন প্রকার স্বাস্থ্যের জন্য বাহিরের ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়না। তাই পাহাড়ের গরুর দাম একটু বেশি।
তারা আরো জানান, দাম বেশী হলেও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কাপ্তাইয়ের এসব পাহাড়ী গরু। বিশেষ করে এই পাহাড়ী গরুর কদর দেশজুড়ে রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার হতে গরু কিনতে আসা রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা আবু বক্কর, খোরশেদ আলম সহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, এই বাজারে যেসব গরু আনা হয় পাহাড় থেকে, সেগুলি অনেক ভালো। পাহাড়ী গরুর প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা অনেকটা বেশি।
তবে কিছু ক্রেতা হতাশ হয়ে বলেন, বাজারে গরুর দাম অনেক চড়া, তাই অনেকেই গরু না কিনে চলে যাচ্ছে। দাম একটু কমলে গরু বিক্রয় আরো বাড়বে বলে তারা জানান।
কাপ্তাই নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, কাপ্তাইয়ের একমাত্র পশুর হাট এই আনন্দ মেলা মাঠে সাশ্রয়ী মূল্যে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এনামুল হক হাজারী জানান, প্রতিবারের মতো এবারও কাপ্তাই পশুর হাটে একজন উপ সহকারী পশু সম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটা টিম হাটে চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে।