রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার মদন পাড়া কার্বারী এলাকায় হঠাৎ করে বন্যাহাতির উৎপাত দেখা দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
গত কয়েকদিন আগে কাপ্তাই হরিনছড়া হতে বন্য হাতির দল চিৎমরম এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় নেমে এসব হাতি তান্ডব শুরু করতে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন পাহাড়ে বসবাসকারী লোকজন।
তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সীতাপাহাড় সীমান্তে রাজস্থলীর অংশে একদল বন্যহাতি উৎপাত শুরু করে। এতে পাহাড়ে থাকা ক্ষুদ্র- নৃ গোষ্টিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত রবিবার হতে এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। যে কোন সময় উপজেলার তালুকদার পাড়া হাজীপাড়া নোয়াপাড়া খাগড়াছড়ি পাড়া, টাওয়ার পাড়া, ডাক্তার পাড়ায় নেমে তান্ডব শুরু করতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেছেন। মদনপাড়া গ্রামবাসী এসব হাতির তান্ডব দেখেছেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মদন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিরন্তন তনচংগ্যা বলেন, গতকাল থেকে বন্যহাতির দল পাড়ায় হানা দিচ্ছে, আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, পাড়াবাসীরা বন্য হাতির আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, রাজস্থলীতে হাতির তান্ডবের বিষয়ে শুনছি। এরপরও গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং রাতে হাতে মশাল নিয়ে গ্রুপ করে গ্রামের লোকজনকে পাহারা দিতে হবে।
তিনি বলেন, হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাধা দেয়া যাবেনা। বাধা দিলে সে তান্ডব চালাতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
রাজস্থলী সদর রেন্জ কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, হাতি কে উত্তেজিত করা যাবে না। সুতরাং রাতে মশাল বা ঢাকডোল পিটিয়ে তাদের তাড়াতে হবে। হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাঁধা দেওয়া যাবে না। সবাই সতর্ক থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
হাতি তাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকবল সংকট ও প্রয়োজনীয় সরন্জাম না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।