সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহৎতম ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাঙামাটির কাপ্তাই এর বিভিন্ন পূজামন্ডপ গুলো।মৃৎশিল্পীরা শেষ পর্যন্ত প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আগামী ১৪ অক্টোবর পবিত্র মহালয়ার মাধ্যমে মহামায়ার শুভাগমনের বার্তা ধ্বনিত হবে। মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপে দর্শনের আহবানে আগামী ২০ অক্টোবর দেবী দুর্গার বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা।
এইবার মা দুর্গার আগমন ও গমন দুটোই ঘটবে ঘোটকে। যার ফলে প্রকৃতি মাতার চতুর্দিকে দৃশ্যমান হবে ঝড় তুফান জল্লোচ্ছাস সহ গঙ্গা মাতার করুণাধারার অমিত সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চন্দ্রঘোনা পরমহংস স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ-রক্ষা কালী মন্দির ও সেবাশ্রম’র অধ্যক্ষ শ্রীমৎ গুরুকৃপানন্দ মহারাজ।
কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এই বৎসর কাপ্তাইয়ে ৮ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্টিত হবে শারদীয়া দুর্গোৎসব। এছাড়াও প্রতি বছরের ন্যায় বিজয়া দশমীর দিন কর্ণফুলী নদী মোহনায় নৌ র্যালীর মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে এবং অনুষ্ঠিত হবে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও লগগেইট জয়কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু বলেন, ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলার ৮ টি পূজা মন্ডপ স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা সার্বজনীন শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি রিপন গুহ বলেন, ইতিমধ্যে এই মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ পুরোদমে চলছে। আমাদের পূজা মন্ডপের এইবারের থিম “পদ্ম ধরণী।” মা দুর্গার চিরন্তন পছন্দ পুষ্প হলো পদ্ম। তাই এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা মায়ের মন্ডপকে সাজানোর চেষ্টা করছি।
কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই থানা পুলিশের পাশাপাশি আনসার, গ্রাম পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক দল ও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছা সেবকরা সমন্বিতভাবে পূজা মন্ডপে আনসার ও পুলিশকে সহায়তা করবেন।