কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলির তীরে তীর্থযাত্রীদের কান্নার রোল

NewsDetails_01

তারা যাচ্ছিলেন তীর্থযাত্রায়, কিন্তু তাদের এই যাত্রায় যে শেষ যাত্রা হবে তা ঘুর্নাক্ষরেও কেউ আঁচ করতে পারেনি। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলীর তীরে এখন স্বজন ও বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের কান্নার রোল। তারা আছেন প্রিয় স্বজনদের লাশের অপেক্ষায়,যদি অন্তত লাশ পাওয়া যায়। তাদের আহাজারিতে কর্ণফুলীর তীরের বাতাস যেন ভারি হয়ে আসছে।

চট্টগ্রাম থেকে ইসকনের আয়োজনে তীর্থযাত্রার অংশ নিতে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই ভ্রমণে এসে কেপিএমের কয়লার ডিপো সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে বোট ডুবে প্রাণ হারিয়েছে চট্রগ্রামের হাজারী গলির রতন দে’র কন্যা দেবলীনা দে (১০)। এখনো নিখোঁজ রয়েছে চট্রগ্রামের মিরশ্বরাই উপজেলার জোরারগন্জের রাজীব মজুমদার এর শিশু পুত্র বিজয় মজুমদার (৫) এবং স্ত্রী টুম্পা মজুমদার (৩০)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে কাপ্তাই নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স যৌথ অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গেছে।

ওয়াগ্গা ইউপি সদস্য মাহাবুব আলম বলেন, চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকার রাধামাধব মন্দির থেকে প্রায় ১২৭ জন ইসকন সদস্য কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে তীর্থ ভ্রমণে আসে। পরে তারা কর্ণফুলী নদী হয়ে ৩টি বোটে চা বাগানে যাওয়ার পথে ২টি বোট কুলে ভীড়লেও অপর ১টি বোট কুলে ভীড়ার আগেই নৌ ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া বোটে ৪৭জন যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।

NewsDetails_03

বিকাল পৌনে ৫টায় ঘটনাস্থল থেকেই চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধিন হাজারি গলীর অধিবাসী রতন দে’র মেয়ে দেবলীনা দে (১০)’র মরদেহ কাপ্তাই নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল যৌথ অভিযান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের হরিওপুর মজুমদারপুর বাড়ীর রাজিব মজুমদারের স্ত্রী টুম্পা মজুমদার (৩০) ও তাদের শিশু পুত্র বিজয় মজুমদারের (৫) সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি সহ স্হানীয়রা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে।

চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি বলেন, কাপ্তাই লেক অথবা কর্ণফুলী নদীতে ভ্রমণে আসা যাত্রীরা দুটি নৌকা একত্রিত করে অবাধে হৈহুল্লোড় করায় বরাবরই বাড়ছে নিহতের ঘটনা। প্রশাসন যদি এই বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঝুকিপূর্ণ বোট সমূহকে আইনের আওতায় আনে তবে কমে আসবে হতাহতের ঘটনা।

আরও পড়ুন