কাপ্তাইয়ে অজ্ঞাত মহিলার লাশের পরিচয় মিলেছে

আটক ২ জন

purabi burmese market

অবশেষে পরিচয় মিলেছে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে অজ্ঞাত পরিচয় লাশের। হত্যাকান্ডের স্বীকার হাসিনা আক্তার সুমি কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর মৃত আব্দুর রশীদ এর মেয়ে। নিহতের স্বামী হাতির মাহুত ইমাম উদ্দিন আলীকদমে বসবাস করে।

গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টয়লেট হতে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এইসময় কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক শাহীনুর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এসে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ টয়লেট হতে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এই হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় কাপ্তাই থানা পুলিশ অভিযানে নামে সন্দেহজনক দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। খবর মেয়ে নিহতের মা আমেনা বেগম রবিবার সকালে থানায় এসে মেয়ের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

এইসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ের সাথে জামাই ইমাম উদ্দিনের তালাক হয়েছে তিন মাস আগে। তালাক হলেও তাদের মধ্যে টাকার লেনদেন ছিল এবং তিনমাস পর আবার তাদের মধ্যে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনিতে বসবাসরত সুমির বান্ধবী রুমি আমার মেয়ের জামাইকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করার জন্য মেয়েকে হত্যা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আরোও অভিযোগ করে তিনি জানান, কয়েকদিন আগেও নাকি আমার মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়া দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে মেয়ে জামাই।

কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে সুমিকে হত্যা করে মুখমন্ডল জ্বালিয়ে দিয়ে স্কুলের টয়লেটর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রেমঘটিত হত্যার বলি হয়েছে হাসিনা আক্তার সুমি (৩১)।

dhaka tribune ad2

ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সন্দেহজনক দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদা্ছছর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদা বেগম, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দীন সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন জানান, এটি একটি পরিস্কার হত্যাকান্ড। তাঁকে মেরে বাথরুমে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর শরীরের কিছু অংশ পোড়া রয়েছে। যাতে করে কোন চিহ্ন বা আলামত না থাকে। আমরা সন্দেহজনক দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আরোও একজন সন্দেহের তালিকায় আছে। তিনি জানান, হত্যাকারী যেই হউক না কেন শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়বেই।

নিহতর মা বাদী হয়ে রবিবার কাপ্তাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।