কাপ্তাইয়ে ইউপি সদস্য হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় কাপ্তাই নতুনবাজার কাপ্তাই সড়কে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রাঙামাটি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান সজিব এর হত্যাকারী কর্তৃক তাঁর পরিবারের সদস্য ও কাপ্তাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হুমকির প্রতিবাদে এবং আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার (৮ জুন) বিকেল ৪ ঘটিকায় কাপ্তাই নতুনবাজার কাপ্তাই সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাপ্তাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী।

কাপ্তাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী সামসুল ইসলাম আজমীর এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, সহ সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর চক্রবর্তী, সদস্য এরশাদুল কবির ও বদরুল আলম জিপু, নিহত ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান এর বড় মেয়ে নুসরাত জাহান নিশাত।

এসময় বক্তাগণ বলেন, ইউপি সদস্য সজিবুর রহমানের হত্যাকারীরা এখনোও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তাঁরা।

বক্তারা আরোও বলেন,সজিবুর রহমান হত্যাকারীর ২ নং আসামী ইমাম আলী কিভাবে ঐ ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ইউপি সদস্য হয় নির্বাচন কমিশন এর কাছে আমাদের প্রশ্ন।

নিহত সজিবুর রহমান এর মেয়ে আবেগন পরিবেশে বলেন, এখনোও কাপ্তাইয়ের অনেকে প্রকাশ্যে বাবার হত্যাকারীদের সাথে আঁতাত করছেন। এটা একটি চরম দুঃখ ও লজ্জার বিষয়। আমি বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নতুনবাজার কাপ্তাই সড়ক হতে শুরু হয়ে নতুনবাজার প্রদক্ষিণ করে আবারও কাপ্তাই সড়কে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে কাপ্তাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং নিহত সজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন