কাপ্তাইয়ে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হলেন আথোয়াই-সুইনুচিং দম্পতি

NewsDetails_01

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়ন এর বড়খোলা মারমা পাড়া। রাইখালী ফেরিঘাট হতে ৩- ৪ কি:মি: সড়ক পথ হয়ে অপরুপ দৃষ্টি নন্দন বড়খোলা মারমা পাড়া।

গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১ টায়, প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। ছোট্ট পাহাড়ের উপর আথোয়াই মারমা-সুইনুচিং মারমা দম্পতির বসবাস। হঠাৎ তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, সাথে ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সস্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা আরজু, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াস। সম্ববত এই প্রথম উপজেলা প্রশাসনের কোন নির্বাহী অফিসার এর এই পাড়ায় আগমন। প্রস্তুত ছিলেন না এই দম্পতি তাদের আগমনের। এই যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। পরিচয় পর্ব জেনে হাসিমুখে বরণ করে নিলেন তাদের। উদ্দেশ্য কিন্ত বেড়ানো নয়, এই দম্পতির ছাগল পালন কর্মসূচী দেখতে এই পাড়ায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের আগমন।

কথা হয় এই দম্পতির সাথে এই প্রতিবেদকের, তারা জানালেন বছর দুই আগে তাদের নিজের কিছু সঞ্চিত টাকা এবং আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্প হতে ঋণ নিয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তারা মাত্র ২ টি ছাগল কিনে এই খামার শুরু করেন, বর্তমানে তাদের ১১ টি ছোট বড় ছাগল রয়েছে। মাঝে মাঝে কিছু বিক্রি করে দেয় তারা, এই হতে তাদের সংসার এবং ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার সব কিছু যোগান হয়।

NewsDetails_03

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অমল কান্তি দে জানান, তারা সবসময় প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কাজ হতে পরামর্শ গ্রহণ করে, আমরা মাঝে মাঝে এসে তাদের খামারের ছাগলের ভ্যাকসিন প্রদান করি এবং পরামর্শ দিই।

কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাহমিনা আরজু জানান, তাদের খামারের ছাগলের জাত যমুনাপাড়ি। তারা আমাদের দপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে এই কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রকল্প ” আমার বাড়ী আমার খামার “প্রকল্প হতে এইসব দরিদ্র জনগোষ্ঠী সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে হাঁস মুরগী পালন, গবাদিপশু পালন, কৃষি কাজ সহ নানা আয়বন্ধক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তিনি এই কাজে অন্যান্যদের আসার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন