চট্টগ্রাম থেকে ইসকনের আয়োজনে তীর্থযাত্রার অংশ নিতে আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ভ্রমণে এসে কেপিএমের কয়লার ডিপো সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে বোট ডুবে প্রাণ হারিয়েছে চট্রগ্রামের হাজারী গলির রতন দে’র কন্যা দেবলীনা দে (১০)। এখনো নিখোঁজ রয়েছে চট্রগ্রামের মিরশ্বরাই উপজেলার জোরারগন্জের রাজীব মজুমদার এর শিশু পুত্র বিজয় মজুমদার (৫) এবং তার স্ত্রী টুম্পা মজুমদার (৩০)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে কাপ্তাই নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স যৌথ অভিযান চালায় শুক্রবার রাত ৯ টা পর্যন্ত।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল রাত ৯. ৩০ মিনিটে পাহাড়বার্তাকে জানান, নৌ বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল কর্নফুলি নদীর আশেপাশে তল্লাশি নিখোঁজ মা এবং ছেলের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। আগামীকাল (শনিবার) সকাল থেকে ফের উদ্ধার কার্যক্রম চলবে।
উল্ল্যেখ যে, চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকার রাধামাধব মন্দির থেকে প্রায় ১২৭ জন ইসকন সদস্য কাপ্তাইয়ের শীলছড়ি এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে তীর্থ ভ্রমণে আসে। পরে তারা কর্ণফুলী নদী হয়ে ৩টি বোটে চা বাগানে যাওয়ার পথে ২টি বোট তীরে ভীড়লেও অপর ১টি বোট তীরে ভীড়ার আগেই নৌ ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া বোটে ৪৭জন যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।