কাপ্তাইয়ে ব্যস্ত কামারদের কাটছে অলস সময়

NewsDetails_01

প্রতি বছর কোরবানের ঈদ এলে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কামাররা পাড় করে ব্যস্ত সময়। দা, ছুড়ি,বটি বিভিন্ন লৌহা জাতীয় জিনিস তৈরিতে রাত-দিন ব্যস্থ সময় কাটতো তাদের। কিন্ত এবার তাদের কাটছে অলস সময়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাসের ফলে প্রভাব ফেলেছে দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে, সেই প্রভাব পড়েছেও কাপ্তাই এর ব্যবসার প্রানকেন্দ্র নতুন বাজারে। অথচ প্রতিবছর এই বাজার সংলগ্ন আনন্দ মেলা মাঠে বসতো বিশাল গরু ছাগলের হাট। কাপ্তাই, রাংগুনিয়া, বিলাইছড়ি হতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত হতো এই হাট। এর প্রভাব পড়তো কামারের দোকানে। এই বছর বেচাবিক্রি কম থাকায় কাজ কমেছে কামারের দোকানে।

আজ শনিবার (২৫ জুলাই) নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায় কামার’রা অলস বসে সময় পাড় করছে।

NewsDetails_03

কামার আরিফ জানান,আগের বছরে কোরবানি ঈদের ১৫ দিন আগে হতে রাত – দিন নতুন দা, ছুড়ি, বটি তৈরি ও শান দিতে ব্যস্থ সময় পাড় করতাম। দিনে আয় হতো ৪/৫হাজার টাকা। আর এখন করোনা ভাইরাসের ফলে কোন ব্যবসা নেই। দিনে ৪/৫শ’টাকা আয় করতে পারিনা। লোকজন আগের মত আর দা, ছুড়ি, বটি নিয়ে আসেনা এবং অর্ডারও দেয়না।

তিনি আরো বলেন, তাই আর কি করব কাজ নেই, ব্যস্ততাও নেই। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কস্ট দিন পাড় করছি।

কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: একরামুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে এবার বহু মানুষ পশু কোরবানি দিতে পারছে না, আগের মতো জমে উঠে নাই পশুর বেচাবিক্রির হাট। যার ফলে কামারদের এখানে লৌহজাতীয় জিনিস তৈরি এবং বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।

এই শিল্পের সাথে জড়িত কামাররা সকলে সরকারের নিকট অন্তত পক্ষে এই বছর আর্থিক প্রনোদনা দিয়ে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন