কাপ্তাইয়ে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে হঠাৎ গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মাঝে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায় ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরে অসুস্থ নানা বয়সী মানুষ। শুধু তাই নয় পরিবারের একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ভাইরাস জ্বর। সাথে সর্দি, কাশি লেগে আছে।

গত রবিবার কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের গিয়ে কথা হয় ইউপি সদস্য মাহবুব আলম এর সাথে, তিনি জানান, প্রায় ঘরে ঘরে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাপ্তাই ইউনিয়ন এর কমিউনিটি হাসপাতালের এর স্বাস্থ্য কর্মী খাদিজা জানান, কমিউনিটি সেন্টারে আসা প্রায়ই রোগী ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আতংকিত হচ্ছে মানুষ । তবে চিকিৎসকরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা গ্রহন করলে এই ভাইরাস জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন ।

NewsDetails_03

এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনার ফোকাল পার্সন ডাঃ ওমর ফারুক রনি জানান, বর্তমানে তীব্র গরমে ও অনাবৃষ্টির সর্বোপরি বিরূপ আবহাওয়ার ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই অসুস্থ হয়ে জ্বর, সর্দি কাশি সহ নানা অসুখে ভুগছেন। যা একজন থেকে অন্যজনের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ায় আতংকিত হচ্ছে অনেকেই। কিন্তু তিনি এসময় আতংকিত না হয়ে সচেতনার সাথে চিকিৎসা গ্রহন করলে দ্রুত সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি রোগীদের জন্য কিছু পরামর্শ প্রদান করেছেন। যেমনটা এসময় সকলকে বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি তরল জাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। জ্বর বা সর্দি কাশি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করার পরেও ৩ দিনের মধ্যে যদি জ্বর না কমে বা অবস্থার উন্নতি না হয় তবে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন না করার জন্য নিষেধ করেছেন তিনি। বর্তমান বিরূপ আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে এই ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

এছাড়া বিশ্ব মহামারি (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি সমূহ মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেছেন তিনি।।

আরও পড়ুন